রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে আজ মঙ্গলাবার সন্ধ্যা সাতটায় এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মহাত্মা গান্ধীর ৬৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মহাত্মা গান্ধীর কর্মময় জীবন’ শিরোনামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি পরিষদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমরা প্রায় ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়ার পথে চলে গিয়েছিলাম। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সহিংসতায় ভরা। এই দেশে মহাত্মা গান্ধীর প্রয়োজন যে কত বড়, তা আমাদের সবার উপলব্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে।’
নতুন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমি জানি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি এটা মেনে নেবে না। কারণ এটার মধ্যেও তারা পাল্টাপাল্টি খুঁজে পাবে। মুখোমুখি অবস্থান খুঁজে পাবে। এটার মধ্যে দিয়ে চিন্তা করা হবে কীভাবে রাজপথকে উত্তপ্ত করা যায়। আমরা কিন্তু খুব বেশি দূরে নেই এই অবস্থান থেকে।’
নাজমুল হুদা আরও বলেন, মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশকে অহিংস দেশে পরিণত করে সহিংস রাজনীতি বিদায় দিতে হবে। সাংঘর্ষিক রাজনীতিকে সম্পূর্ণভাবে বিদায় দিতে হবে।
আলোচনায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘মানবতাকে সমুন্নত রাখার জন্য আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রতিবাদ জানাতে ১৯৪৬ সালে গান্ধী নোয়াখালীতে এসেছিলেন। কিন্তু আমরা কি সেই মানবতাকে সমুন্নত ও সংরক্ষণ করতে পেরেছি? জঙ্গিবাদ রাজনৈতিক দর্শনকে যদি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হই, তাহলেই গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো হবে।’
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ঝুনু শামসুন্নাহার গান্ধীর কর্মজীবনে অহিংসার ব্রত তুলে ধরে বলেন, ‘আজ চারদিকে যুদ্ধ-বিগ্রহ, পৃথিবীটা অস্থির। ব্যক্তি-পারিবারিক জীবনে গান্ধীর এই অহিংসা ব্রত পালন করতে পারলে আমরা শান্তিতে থাকব।’
আলোচনা শেষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের রাখার জন্য ১৫ জনকে ‘মহাত্মা গান্ধী শান্তি পদক-২০১৭’ দেওয়া হয়।