মোঃ জাহিদুল ইসলাম ডিমলা প্রতিনিধিঃ।। (নীলফামারী) : ঝালমুড়ি বিক্রি করে এক টাকা, দুই টাকা, তিন টাকা করে জমানো টাকা। সেই টাকা দিয়েই দরিদ্র পরিবারে একটি গাভী কিনেছিল ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল জব্বার (৫৫)।
সে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামডাঙ্গা গ্রামের মৃত মাটিয়া মামুদের ছেলে। মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে গিয়ে কথা হয় দুই পা বিশিষ্ট গরুর বাছুর নিয়ে বসে থাকা গাভী গরুটির মালিক আব্দুল জব্বারের সাথে। তিনি জানান, অনেক কষ্টে জমানো টাকা দিয়ে গত ৫ ফ্রেব্রুয়ারী রোবরার উপজেলার বাবুরহাট থেকে একটি গাভী গরু ৪২ হ্জাার ২’শ টাকায় ক্রয় করে বাড়ীতে নিয়ে আসি। গরুটি দেখার সময় সবাই বলছিল গরুটির একটি আড়িয়া বাছুর হবে। সেই বাছুর বড় করলে আমার এই গাভীর দ্বিগুন টাকা দিয়ে তা গাভী গরুটির বাছুরটি বড় করে বিক্রয় করলে আরো গরু কিনতে পারবো। কিন্তু তা আমার কপালে হলো না। গরুটি বাড়ীতে এনে রেখেছি রবিবার। সোমবার দিনগত রাতেই গাভীটির একটি বাছুর হয়। বাচ্ছি বাছুর গরুটি জন্ম নেয় দুই পা নিয়ে।
অলৈৗকিক এ বাছুরটি দেখতে এখন আশে পাশের লোকজনসহ দুর দরান্ত থেকেও লোকজন ভীর করছে আমার বাড়ীতে। কেউ বলছে আমার কপাল খারাব তাই এ বাছুরের জন্ম। আবার কেউ বলছে এই বাছুর দিয়ে আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। কার কথা কে বিশ্বাস করবে বলেন ? তাই আমি এই বাছুর নিয়ে কোন চিন্তা করছি না। বাছুরটি জন্মের প্রায় ১৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও বাছুরটির তেমন কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। দুই পা নিয়েই বাছুরটি এখন সুস্থ্য আছে। আমি ডিমলা প্রাণী সম্পদ বিভাগে খবর দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেহ আসেননি। আসলে হয়ত তাদের কাছে পরামর্শ নেওয়া যাবে কিভাবে এই দুই পা বিশিষ্ট বাছুরটি লালন পালন করে বড় করতে পারবো। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত আমার কপালে কি আছে ? অলৈৗকিক এ গরুর বাছুরটি দেকার জন্য সংবাদকর্মীসহ শতশত মানুষ ভীর করছে বাছুরটি এক নজর দেখার প্রত্যাশায়।