তবে দলের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন কমিশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় নেতারা বলেছেন, এই কমিশন দলনিরপেক্ষ হয়নি। কারও কারও অতীতে বিতর্কিত ভূমিকা ছিল। তাই নতুন কমিশন নিয়ে বিএনপিতে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে।
গত রাত পৌনে ১২টায় বৈঠক শেষ হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে তাঁর গুলশানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে স্থায়ী কমিটির নয়জন সদস্য অংশ নেন। আজ মঙ্গলবার রাতে ২০-দলীয় জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এর আগে গতকাল রাতে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ সদস্যের কমিশনের নাম ঘোষণার পর বিএনপি ও ২০ দলের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। অধিকাংশ নেতা বলেছেন, তাঁরা ঘোষিত নির্বাচন কমিশনারদের অনেকের সম্পর্কে জানেন না। জোটের বৈঠকের পর তাঁরা প্রতিক্রিয়া দেবেন।
অবশ্য দলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলার বিচারকাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি নিজের মামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন খালেদা জিয়া। এ অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে দল ও জোটের এসব বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করতে বিএনপির চেয়ারপারসন এসব বৈঠক করছেন।
এদিকে ২০-দলীয় জোটের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম গত রাতে বলেন, ‘সার্চ কমিটির ওপর আমাদের খুব একটা প্রত্যাশা ছিল না। তাই নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নামের তালিকা দেখে ব্যক্তিগতভাবে খুব বিস্মিত নই। আমাদের তালিকার কাউকে রাখা হয়নি।’
আরেক শরিক দল বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, যাঁদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সম্পর্কে তাঁর খুব জানা নেই। তাঁর মনে হয়েছে, সরকার নামগুলো আগে যাচাই-বাছাই করে রেখেছিল।
বিএনপির জোটে থাকা ধর্মভিত্তিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন হবে, এরপর নির্বাচন কমিশনারদের কাজ দেখে মন্তব্য করা যাবে। আর খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের অনেককে তিনি চেনেন না। তাঁদের ব্যাপারে জানার পর তাঁর দল প্রতিক্রিয়া দেবে।