জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, গতকাল বুধবার রাত থেকেই হরতাল-সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল। হরতালের সমর্থনে আজ সকালে শাহবাগ এলাকায় শান্তিপূর্ণ মিছিল বের হয়। মিছিলে হামলা করে পুলিশ। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভয়ভীতি ও হামলা সত্ত্বেও কর্মসূচি চলবে।
জানতে চাইলে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, তাঁরা পরিস্থিতি দেখছেন। এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।
গতকাল জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ঢাকা মহানগরের সব প্রতিষ্ঠান, যান্ত্রিক পরিবহন ও ব্যক্তিগত কাজ আজ বেলা দুইটা পর্যন্ত বন্ধ রেখে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করে সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনে শরিক হতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৬ জানুয়ারির হরতাল ক্ষমতার সংকীর্ণ সংঘাতে সম্পদ ধ্বংসের নয়, বরং সম্পদ রক্ষা, সম্পদ সৃষ্টি ও বাংলাদেশ রক্ষার। এই হরতাল জ্বালাও-পোড়াও নয়, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের।
জাতীয় কমিটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাত বছর ধরে সুন্দরবন-বিনাশী রামপাল কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলসহ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্য সাত দফা বাস্তবায়নে তাঁরা লংমার্চ, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, মহাসমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করলেও সরকার এই প্রকল্প বাতিল না করে উল্টো সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। তাই তারা বাধ্য হয়ে হরতাল পালনের কর্মসূচি দিয়েছে।
পথচারী, সাইকেল-রিকশা-ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমসহ বিদ্যুৎ-ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় কমিটি।