মোঃ জাহিদুল ইসলাম ডিমলা প্রতিনিধিঃ।। : গতকাল সোমবার ২৩ জানুয়ারী নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের মৃত মানিক হাওলাদারের পুত্র মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার নেশাগ্রস্ত ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৫)কে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নেশাগ্রস্ত মাদক গাঁজা ও হিরোইনসেবী পুত্র জাহিদুলের বিরুদ্ধে তার পিতা তোফাজ্জল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জাহিদুল একটি কন্যা সন্তানের জনক। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জাহিদুল নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলে এলাকার অন্যান্য নেশাগ্রস্ত যুবকদের সাথে চলাফেরা করে এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। সারাদিন নেশা শেষে বাড়ীতে এসে বাড়ীতে থাকা গরু ছাগলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে গিয়ে অল্প টাকায় বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে মাদক ক্রয় করে নেশা করে। ঘটনার দিন ২১ জানুয়ারী সকালে জাহিদুল নেশার জন্য মায়ের কাছে টাকা চাইলে মা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় পুত্র জাহিদুল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকায় মাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। মায়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাকে ছুরি দিয়ে চোট মারতে যায় জাহিদুল। ঠিক এ সময় তার বোন জাহিদুলের হাত ধরতে গেলে বোন ফাতিমার আঙ্গুল কেটে যায়। এ ঘটনার বিবরণ দিয়ে পিতা তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় আজ সোমবার বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়া গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে জাহিদুলকে আটক করে নিয়ে আসেন ইউপিতে। এ সময় গ্রাম পুলিশ তার দেহ তল্লাশী করলে জাদিুলের কাছে দুই ও দশ টাকা নোটের মধ্যে হিরোইন ঢুকিয়ে সেবনের জন্য আনুষাঙ্গিক অন্যান্য কফ-কাসের সিরাপ, হিরোইন দ্রব্য ও গাঁজা পওয়া যায়। এ সময় জাহিদুল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দৌড় দিয়ে পালাতে গিয়ে আবারও ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান জহরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, সামাজিক ভাবে অরো কয়েক বার বিচার শালিশ করেও নেশাগ্রস্ত জাহিদুল নেশা ছাড়তে পারেনি। তাছাড়া সে বাবা-মায়ের সাথেও খাবার আচরন করছে। তার পিতার অভিযোগে তাকে ডিমলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নেশাগ্রস্ত জাহিদুল ডিমলা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।