উত্তর প্রদেশের এ নির্বাচনকে ভারতের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে। আর সেখানে এসপির সঙ্গে কোটবন্ধনের কাজটি ছিল দুরূহ। এসপির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। জোট প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সঙ্গে এসপির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়েম সিং যাদবের চরম বিরোধ শুরু হয়। পিতা-পুত্র এমনকি দলীয় প্রতীক বাইসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন। শেষতক অবশ্য সাইকেলের সওয়ার হন অখিলেশই। কংগ্রেস-এসপির জোটবন্ধন সহজ হয়ে যায়। এই কাজের পেছনে প্রিয়াঙ্কার ভূমিকা নিয়ে প্রথম কথা বলেন সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেল। গত রোববার এক টুইটার বার্তায় অখিলেশ, কংগ্রেসের উত্তর প্রদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গুলাম নবী আজাদ এবং প্রিয়াঙ্কার ভূমিকার কথা জানান প্যাটেল।
পরে আজাদও এই জোটবন্ধনে ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রিয়াঙ্কাকে ধন্যবাদ জানান। এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক ঘটনায় প্রিয়াঙ্কার ভূমিকার কথা প্রকাশ্যে এল। এখানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্যাটেল কিন্তু এই জোটবন্ধনে রাহুলের ভূমিকা নিয়ে কোনো কথাই বলেননি। এর মাধ্যমে একটি বার্তা খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকেই।
তবে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই এ নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কাকে সামনে আনার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছিলেন রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। ভারতের গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে অসামান্য ভূমিকার জন্য খ্যাত তিনি। পরে তিনি অবশ্য কংগ্রেসের নির্বাচনী কৌশলবিদ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
প্রিয়াঙ্কা মা সোনিয়ার সঙ্গে রায়বেরিলির নির্বাচনী প্রচারণায় গেছেন অনেকবারই। গত জুলাইয়ে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে কংগ্রেসের কর্মকৌশল ঠিক করার সময় প্রিয়াঙ্কার নামটি জোরেশোরে দলের ভেতরে আলোচিত হয়। তবে তখনো এটা বোঝা যায়নি যে নির্বাচনে তিনিই হচ্ছেন অন্যতম পরিকল্পনাকারী। এসপির সঙ্গে জোট বাঁধার পাশাপাশি দুই দলের আসন ভাগাভাগিতেও প্রিয়াঙ্কা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।