প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের পর্যটনশিল্প দ্রুত বিকাশ হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এ দেশে বিদেশি পর্যটকদের আগমন হচ্ছে না। সরকার পর্যটনশিল্পকে প্রথম সেক্টর হিসেবে গ্রহণ করেছে। যদিও এখন পর্যন্ত পর্যটনশিল্পতে বিনিয়োগ যথেষ্ট নয়। বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। বেসরকারি পর্যায়সহ এই খাতে বিনিয়োগ বাড়লেই পর্যটনশিল্পে দেশ এগিয়ে যাবে।
রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, ‘অন্য দেশে গেলে আমরা সেখানকার স্মারক জিনিস কিনতে চাই। নিয়ে আসতে চাই। আমাদের দেশে পর্যটন স্মারক বৃদ্ধি করতে হবে। যখন আমরা বাইরে যাই, তখন দেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার মতো খুব বেশি জিনিস আমরা পাই না। ওই এক নকশি কাঁথা কতবার দেওয়া যায়?’
নিত্য উপহারের এই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় ১৫১ জনের ৭৫৭টি আলোকচিত্র স্থান পায়। এর মধ্যে ২৭টি আলোকচিত্র টি-শার্টে ছাপানোর জন্য নির্বাচিত হয়। ভ্রমণ উদ্দীপক এসব আলোকচিত্রের বিষয়বস্তু ছিল গ্রামবাংলা, সমুদ্রতট, খাল-বিল, হাওর, দ্বীপ, জল ও জীবনের গল্প। সকাল ও বিকেলের আলোছায়া ধরা পড়েছে পাহাড়-নদী-বন, নকশি কাঁথার মাঠ, প্রত্নস্থান, পুরাকীর্তি ও ঐতিহাসিক স্থানের মুহূর্ত।
নিত্য উপহারের প্রধান নির্বাহী বাহার রহমান বলেন, দেশকে তুলে ধরতে তরুণেরা নানা কর্মকাণ্ড করে। কোথাও ঘুরতে গেলে ছবি তোলে। পরে সেগুলো হারিয়ে যায়। কিন্তু টি-শার্টের এই মুহূর্তগুলো সবাই দেখতে পাবে। দেশের অপরূপ প্রকৃতিকে তুলে ধরাই এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হন তরুণ এনজিও কর্মী ও শখের আলোকচিত্রী মুহাম্মদ শাহ জামান। তিনি বলেন, ‘গ্রামবাংলার ছবি ফ্রেমে তুলে ধরতেই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এই পুরস্কার আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ জামান খান কবির, ডিজাইনার চন্দ্রশেখর সাহা, প্রথম আলোর উপফিচার সম্পাদক পল্লব মোহাইমেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।