ট্রাম্পকে নিয়ে ‘নার্ভাস’ প্রতিক্রিয়া চীনে

Slider সারাবিশ্ব

50211_donald-trump-14-09-16

 

  ডেস্ক; যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে ‘নার্ভাস’ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে চীনে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসনে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। সেখানে ‘ফায়ার বিং লিট’ বা লড়াই শুরু করে দেয়া হয়েছে। চীনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরাও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হতে পারে। এ জন্য বেইজিংকে প্রস্তুতি নেয়ার সময় এসেছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। নির্বাচনী প্রচারণার সময় বার বারই চীনকে আঘাত করে বক্তব্য রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি চীনা সরকারকে ‘মুদ্রা ম্যানিপুলেটর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক লড়াইয়ে নামার হুমকি দিয়েছেন। তবে শপথ নেয়ার অনুষ্ঠানে তিনি সরাসরি চীনের নাম উচ্চারণ না করলেও বলেছেন, আমেরিকার কর্মসংস্থানের বিনিময়ে বিদেশী কারখানাগুলো সমৃদ্ধ হচ্ছে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুঙিইং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে উত্থান-পতন আছে। তা সত্ত্বেও তারা সামনে এগিয়ে যাবেন। তবে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রাম্পের নিন্দা জানানো হচ্ছে। সরকারপন্থি পত্রিকা দ্য গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, আগামী চার বছর চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা অপরিহার্য। সম্পর্কে সাংঘর্ষিক অবস্থা দেখা দেবে। নাটকীয় পরিবর্তন চলছে। ট্রাম্প প্রশাসন তার দ্বোরগোড়ায় ও সারবিশ্বে যে ‘ফায়ার’ আছে তা উস্কে দেবে। অপেক্ষা করুন, কখন চীনের পালা আসবে। তবে চীনের বিশেষজ্ঞরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে রেনমিন ইউনিভার্সিটির পাং ঝোঙিইং বলেছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক লড়াই অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রফেসর উ সিয়াং বলেছেন, ট্রাম্পের উদ্বোধনী বক্তব্য আগ্রাসী। তিনি চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পক নিয়ে যে চ্যালেঞ্জ ও জটিলতা আসবে তাকে চীনা সরকার যেন খাটো করে না দেখে। অন্য বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রমাগত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক জটিলতা এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অস্থিতিশীল ও নিরাপত্তা সঙ্কটের কারণ হতে পারে। প্রকৃত সংঘাতের ইঙ্গিত দিয়েছে চায়না ডেইলি। এতে বলা হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সংঘাত দেখা দিলে তাতে কোনো না কোনো উপায়ে উপকৃত হবে চীন, যুক্তরাষ্ট্র নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *