আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই টঙ্গী শহর, ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
গতকাল শনিবার রাতে ইজতেমায় আসা আরও তিনজন মুসল্লি মারা গেছেন। এর আগে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ নিয়ে মোট আটজন মুসল্লির মৃত্যু হলো।
ভোর থেকেই শীতের মধ্যে লাখ লাখ মুসল্লি হেঁটে ও ট্রেনে করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে যান। নারীদের সংখ্যাও অনেক। ইজতেমার আশপাশের সড়কে মুসল্লিরা সকাল থেকেই অবস্থান নেন।
মুসল্লিরা ইসলামের আমল, আকিদা ও দাওয়াত বিষয়ে দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের বয়ান শোনেন। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়।
মুসল্লিরা সকালে বলেন, ইজতেমায় অংশ নিয়ে তাঁরা দেশ ও মানুষের জন্য দোয়া করবেন। ইজতেমার শিক্ষা আমল করে ইসলামি জীবনাচরণে মনোনিবেশ করবেন। আখেরি মোনাজাত শেষে ইসলামি দাওয়াতি কাজে অংশ নেবেন।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের ভাষ্য, গতকাল গভীর রাত থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী, টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের মিরেরবাজার থেকে স্টেশন রোড, কামারপাড়া থেকে আশুলিয়া ও বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।