ডেস্ক; প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। এ আদেশের টার্গেট বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার আইন, যেটি তার পূর্বসূরি বারাক ওবামা করে গেছেন। তার নির্বাহী আদেশে বিভিন্ন সংস্থাকে ‘ওবামাকেয়ার’ বলে পরিচিত ওই আইনের অর্থনৈতিক চাপ লাঘব করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। বিবিসির সংবাদদাতা প্লেট উশার বলেন, যে জিনিস তাৎক্ষণিকভাবে করা যায়, তা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের কিছুক্ষণ পর তার টিম হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে পরিবর্তন আনে। এতে দেখা যায়, ওবামার জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল পরিবর্তন করে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ঢোকানো হয়েছে। ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের কিছুক্ষণ পর ট্রাম্প তার মনোনীত মন্ত্রীসভা সদস্যদের তালিকা সিনেটে পাঠিয়েছেন। তিনি জেনারেল জেমস ম্যাটিসকে প্রতিরক্ষাপদে নিয়োগ দিতে একটি ওয়েভারেও স্বাক্ষর করেছেন। আইনানুযায়ী অবসরের পর ৭ বছর অতিক্রান্ত না হলে সাবেক সামরিক বাহিনীর কোন সদস্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী হতে পারেন না। এ কারণেই ম্যাটিসের জন্য বিশেষ ছাড়ন প্রয়োজন পড়ছে ট্রাম্পের। জেনারেল ম্যাটিসের মনোনয়ন সিনেট অনুমোদন করেছে। পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তাকে শপথ পড়ান। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান হিসেবে জন কেলিকেও শপথ করান পেন্স।
খবরে বলা হয়, নতুন ডিজাইনে সজ্জিত হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে ওবামার পলিসির স্থলে ট্রাম্পের নতুন এজেন্ডা বসানো হয়। নতুন প্রশাসন মাত্র ৬টি ইস্যু জায়গা দিয়েছে ওয়েবসাইটে। এগুলো হলো জ্বালানী, পররাষ্ট্র নীতি, কর্মসংস্থান, প্রবৃদ্ধি, সামরিক বাহিনী, আইন শৃঙ্খলা প্রয়োগ ও বাণিজ্য চুক্তি। সমালোচকরা বলছেন, নাগরিক অধিকার, সমকামী অধিকার, স্বাস্থ্যসেবা বা জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যুগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ওবামার অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট বা ওবামাকেয়ার বাতিল করে নতুন স্বাস্থ্যনীতির প্রতিশ্রুতি ছিল ট্রাম্পের। তার চীফ অব স্টাফ রিন্স প্রাইবাস বলেছেন, ট্রাম্প যেই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে অর্থনৈতিক চাপ লাঘব করতে বলা হয়েছে। তবে তিনি কোন বিস্তারিত তথ্য দেননি। ট্রাম্প একটি দিনকে জাতীয় দেশপ্রেম দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েও একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম দিন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, এটা ছিল ব্যাস্ত দিন, কিন্তু সুন্দর দিনও।
নিজের শপথ গ্রহণ বক্তৃতায় ট্রাম্পের কণ্ঠে জাতীয়তাবাদ ও সুরক্ষাবাদের সুর ছিল ¯পষ্ট। ৭০ বছর বয়সী এ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ মুহূর্ত থেকে আমেরিকা হবে প্রথম অগ্রাধিকার। আমরা দু’টি সাধারণ নিয়ম মেনে চলবো: আমেরিকান পণ্য কিনুন, আমেরিকানদের নিয়োগ দিন।’