পুলিশ বলছে, বিক্ষোভকারীরা অনেক দোকানে ইট-পাথর ছুড়েছে। এতে এসব প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় রাখা ডাস্টবিনগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মরিচ পানির স্প্রে ছুড়েছে।
সিএনএনের খবরে জানা যায়, এ পর্যন্ত ২১৭ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। অন্ততপক্ষে ছয়জন পুলিশ সদস্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তা পিটার নিউসাম বলেন, তিনজন পুলিশ সদস্যের মাথায় আঘাত লেগেছে। অন্যদের আঘাত তত গুরুতর নয়।
ট্রাম্প নিজে বিক্ষোভের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর অনেক রিপাবলিকান সমর্থক ক্ষোভ ও দুঃখপ্রকাশ করেছে। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের এই ঐতিহাসিক ঘটনা উদ্যাপন না করে সহিংস বিক্ষোভ করাকে তাঁরা লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছে, ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ অবৈধ। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই তাঁরা ট্রাম্পের নাগরিক স্বার্থবিরোধী যেকোনো উদ্যোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। তাদের লক্ষ্য, যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ট্রাম্প যেন মনে রাখেন দেশের বেশির ভাগ মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
মার্কিন ইতিহাসে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। ১৮৬১ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটনে জমায়েত হয়। তাদের অনেকেই সশস্ত্র ছিল। সম্ভাব্য হামলা এড়াতে লিঙ্কনকে গোপনে অভিষেক কেন্দ্রে হাজির হন।