গত রোববার বিকেলে কালীগঞ্জ বাজারের কাছে একই গ্রামের বখাটে বাহারের হাতে ছুরিকাহত হন ঝুমা।
ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গত সোমবার ঝুমার পরিবার জকিগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছে।
মামলার আগে বাহারের বড় ভাই নাসির উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।
ঝুমা এখন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসকেরা জানান, ছুরিকাঘাতে ঝুমার বাঁ হাত ও পেটের একাংশ জখম হয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
ঝুমার অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি উপজেলার রসুলপুর গ্রামে। একই গ্রামের বাহার (২৪) প্রায় দেড় বছর ধরে তাঁকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের মাধ্যমে একাধিক সালিসও হয়েছে। গত রোববার ছোট ভাইকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর মা করিমা বেগমও ছিলেন। কালীগঞ্জ বাজারের রাস্তায় হঠাৎ তাঁদের পথ আটকে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বাহার। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বাহার তাঁর হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এ সময় করিমা বেগমও মারধরের শিকার হন।
ঝুমা বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাঁর বাবা মুসলিম আলী পেশায় একজন ভ্যানচালক।