“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষনের এই বাক্যটিকে নিঃসন্দেহে কটাক্ষ করেছেন তারেক সাঈদেরা। নারায়ানগঞ্জের ৭ খুন মামলার রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়। এত সংখ্যক সরকারী কর্মচারী রাষ্ট্রের মালিক জনগনকে পৈশাচিকভাবে হত্যার জন্য অভিযুক্ত হবেন এটা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে অভিশাপ। ঘটনার পারিপার্শিকতা ও প্রমানিত বাস্তবতাই বলে দেয় অভিযুক্তরা নরপিশাচের চেয়েও ভংঙ্কর ছিল।
রাষ্ট্রের মালিক জনগনকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নৃশংস ও পৈশাচিকভাবে খুন করে লাশকে বিকলাঙ্গ করার মত বিকৃত মানষিকতার সম্পন্ন এই সকল লোকরা দীর্ঘ সময় কি ভাবে একটি দেশের সর্বোচ্চ বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন তাও ভাবার বিষয়। যদি তাই হয়ে থাকে তবে আমাদের সকল বাহিনীতে শুদ্ধি অভিযান চালানো উচিত যেন আর কোন এই ধরণের লোক বা লোকদের জন্ম হতে না পারে। যদি হয়ে থাকে তবে এখনি সতর্ক হওয়া উচিত। ক্যান্সারের আগে সতর্ক থাকতে হয়। ক্যান্সারের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা করতে হয়। দেহের কোন অংশ নষ্ট হয়ে গেলে কেটে ফেলতে হয়। না হয় ক্যান্সার মানুষকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
জাতি আশা করে, তারেকদের মত আর কোন তারেক যেন জন্ম নিতে না পারে সে দিকে রাষ্ট্রের কড়া নজর রাখা। না হয় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটলে আমরাই এক সময় ইতিহাস হয়ে বিশ্ব মানচিত্রে অচল হয়ে যাব।