নিজেদের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ নিন: রাষ্ট্রপতি

Slider জাতীয়

 

2a538756a597026967460a3598938a08-hamid

ঢাকা; রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে ও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। আলোচনা বা সংলাপ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমাতে পারে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার খেলাফত মজলিস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেয়। পরে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান এবং নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে গঠনমূলক প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় আজ প্রথম আসেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল। নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত আলোচনায় বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা নির্বাচন কমিশন গঠনে সাত দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তাঁরা নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন এবং আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। বাছাই কমিটিতে আলেম সমাজের একজন প্রতিনিধি রাখারও প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া তাঁরা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাসহ নিজস্ব সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে ও জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়ক হবে।

এরপর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার জন্য বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত আলোচনায় বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তাঁরা নির্বাচন কমিশন গঠনে দুই দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তাঁরা বলেন, দেশ ও জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির আলোচনার উদ্যোগ জনমনে আশার সঞ্চার করেছে। নির্বাচন কমিশন যত নিরপেক্ষ হবে, ততই জাতির নিকট আস্থাভাজন হবে। তাঁরা একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি সুস্পষ্ট আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন। তাঁরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগের প্রস্তাব করেন। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগেও তাঁরা বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *