আজ রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী দলের ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে, তা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার তুলে ধরলেও সরকার তাদের জুলুম-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে। মানবাধিকারকর্মীরা যত সত্য চিত্র তুলে ধরুন না কেন, তাতে জনবিচ্ছিন্ন সরকারের কিছুই যায়-আসে না। সরকারের অনাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেকসহ বাংলাদেশের জনগণ সোচ্চার হতে শুরু করেছে। নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণ শিগগিরই তুমুল গণ-আন্দোলন শুরু করবে।
রিজভী দাবি করেন, বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার জন্যই মূলত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, রাস্তায় কোনো কর্মসূচি করা যাবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন যে রাস্তায় আর কোনো প্রোগ্রাম করা যাবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা দেন যে রাস্তা বন্ধ করে কোনো সভা, সমাবেশ বা কোনো কর্মসূচি বাংলাদেশের কোথাও করা যাবে না। মূলত বিএনপির সভা-সমাবেশ বানচাল করার জন্যই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নেওয়ার জন্যই এ আদেশ। গণতন্ত্র ক্রমাগত সংকোচনের ধারায় এটি আরেক ধাপ অগ্রগতি।
আর এ গণির জন্য দোয়া
বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য আর এ গণির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে আর এ গণি স্মৃতি সংসদ। আজ রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।