র্যাব-৭–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, লাইসেন্স করা অস্ত্র নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে থাকার নিয়ম। অস্ত্রধারী এ দুই ব্যক্তির অস্ত্রের কোনো লাইসেন্স নেই। ফলে এ দুজন অবৈধ অস্ত্র বহন করছিলেন। এ ছাড়া এ অস্ত্রের যে লাইসেন্সের মেয়াদের কথা বলা হচ্ছে, সেটাও মেয়াদোত্তীর্ণ। আর লাইসেন্স করা অস্ত্রের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০ রাউন্ড গুলি রাখার নিয়ম। কিন্তু ৫৬ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। তাই ওই দুই অস্ত্রধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হবে।
র্যাব-৭–এর সহকারী পরিচালক শাহেদা সুলতানা মুঠোফোনে বলেন, হাটহাজারীর চৌধুরীহাট এলাকা থেকে দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে একটি অত্যাধুনিক রাইফেল, একটি ম্যাগাজিন ও ৫৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আটক দুজনের একজন রনি আমার চাচাতো ভাই এবং গাড়িচালক সোহেল ভাগনে। আমি সামনের গাড়িতে ছিলাম। ওরা পেছনের গাড়িতে ছিল। ওই গাড়িতে অস্ত্রটি ছিল। তবে এর লাইসেন্স আছে। তাঁদের আটকের পর আমি সেখানে থাকা র্যাব সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের কাছে লাইসেন্সের ফটোকপি জমা দিই। মূল কাগজপত্র নিয়ে রোববার সকালে র্যাবের অফিসে যেতে বলেছে। আমি যাব।’
অস্ত্রটির লাইসেন্সের মেয়াদ আছে বলে দাবি করেন তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি আজ (কাল শনিবার) বিকেল পাঁচটার দিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে বের হয়ে তাঁদের ফোন দিয়ে তাড়াতাড়ি আসতে বলি। এরপর আমি আমার আরেকটি গাড়িতে করে রওনা দিই। তাঁরা আমার পেছনের আরেকটি গাড়িতে ছিল। সেটিও আমার গাড়ি।’
এই প্রসঙ্গে কিছুই জানেন না বলে জানান হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তৌফিক আহমেদ চৌধুরী উল্লেখ করেন, অস্ত্র আইনে তাঁর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা আছে। তবে তা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন।