ঢাকা; প্রকৃতিতে চলছে পাতা ঝরার দিন। দিন-রাতের তাপমাত্রা কমছে ক্রমেই। শেষ রাত থেকে দুপুর অবধি ঘন কুয়াশা চারদিকে। মেঘমুক্ত আকাশে জলীয় বাষ্পও কমেছে; সঙ্গে আছে উত্তুরে হিম হাওয়া। সব মিলিয়ে ‘বাঘ কাঁপানো মাঘ’ এর আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, কনকনে এমন শীতে রাজধানীসহ পুরো দেশ যেন এখন জুবুথুবু, সবখানে বইছে কনকনে হিমল হাওয়া।
“ইতোমধ্যে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছেও বেশ। আকাশ মেঘমুক্ত, জলীয় বাষ্পও কমেছে, “উত্তরী হাওয়ার বেগ বেড়েছে। আরও দুদিন পর তাপমাত্রা কমবে। বলা যায়, মাঘের প্রথম দিনেই শীতে কাঁপবে দেশ। মাঘে বাঘ কাঁপানো শীত হবে এবার।”
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রংপুরের রাজারহাটে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মাদারীপুরে ৯ দশামক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীর ঈশ্বরদীতে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনার চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বরিশালে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।
আব্দুর রহমান বলেন, “দুদিন পর সোম-মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। শীতের তীব্রতা অবশ্য থাকবে। মাসের শেষে ফের শৈত্যপ্রবাহে শঙ্কা রয়েছে।”
এর আগে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড হয় যশোরে, সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যশোরের এই তাপমাত্রাই ছিল সর্বনিম্ন। ১৯৬২ সালে দেশে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি রেকর্ড রয়েছে।
শুক্রবার নীলফামারী, কুড়িগ্রামে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ; রাজশাহী, রংপুর বিভাগে এবং মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি, শ্রীমঙ্গল ও কুষ্টিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
“এটা অব্যাহত থাকবে এবং এর বিস্তার বাড়বে,” বলা হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং অন্যত্র দুয়েকটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।