টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা কী দুর্দান্তই না হচ্ছিল না তাসকিন আহমেদের। চতুর্থ বলেই জিত রাভালকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন তৃতীয় স্লিপে। ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণে প্রথম শিকারের আনন্দে লাফটা মাত্র দিতে শুরু করলেন তাসকিন, তখনই সেটা রূপ নিল হতাশায়। দলের সেরা ফিল্ডার সাব্বির রহমানের হাত ফসকে বেরিয়ে গেল বল!
এতটা না হলেও শুভাশিস রায়কেও পুরতে হয়েছে হতাশায়। দুর্দান্ত লাইন-লেংথে বল করেছেন। দ্বিতীয় ওভারে রাভালের কানা ছুঁয়ে দুবার বল স্লিপ ফিল্ডারদের ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে বাউন্ডারিতে। অভিষিক্ত পেসারের বোলিং দেখে এক সময় তামিম ইকবাল স্লিপ ও গালিতে দাঁড় করিয়েছেন পাঁচ ফিল্ডারকে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ করে ফেলেন রাভাল ও টম ল্যাথাম। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে এক ওভার করতে এসেছিলেন কামরুল ইসলাম। তাঁর প্রথম বলেই এল সাফল্য। স্টাম্পের অনেক বাইরে শর্ট বলে বাজে এক শট খেলে ফিরেছেন রাভাল (২৭)। রাভালকে হারিয়ে লাঞ্চের আগে নিউজিল্যান্ড করতে পেরেছে ৫৫ রান।
এর আগেই অবশ্য ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছেন অন্য একজন। মাত্র চতুর্থ স্পিনার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বোলিং ওপেন করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে দলের প্রথম ইনিংস বিবেচনা করলে মিরাজই প্রথম স্পিনার যিনি নিউজিল্যান্ডে এসে পেসার না হয়ে দলের প্রথম ওভার করলেন। প্রথম ডানহাতিও তিনি। তাঁর আগের তিনজন—ডেনিস কম্পটন, ক্লাইভ এক্সটিন ও ডেনিয়েল ভেট্টোরি সবাই ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার।
দিনের প্রথম ঘণ্টায় সাব্বিরের ফিফটির পর (৫৪*) ৫৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ড পিছিয়ে ৫৪০ রানে
ঢাকা; তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষেও নিউজিল্যান্ডের মাথা নুইয়ে থাকল। ব্যাটিংয়ে নেমে এরই মাঝে ১ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিক দল। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৫৪০ রানে পিছিয়ে কিউইরা।