ডিও লেটার দিয়ে তদবির করলেই বিপদ

Slider সারাদেশ

48313_letter

 

ঢাকা; আধা সরকারি পত্রের (ডিও লেটার) মাধ্যমে বদলি বা পদোন্নতির জন্য তদবির করলেই বিপদ। ডিও লেটার স্ক্যান হয়ে কর্মকর্তার পার্সোনাল ডাটা শিট (পিডিএস)-এ ঢুকে যাবে। এছাড়া, একই কর্মকর্তার পার্সোনাল (ব্যক্তিগত) ফাইলে সংরক্ষণ করা হবে। এমনটা হলে ভবিষ্যতে ‘ডিও লেটার’ তদবিরকারী কর্মকর্তার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদায়ন/পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগে নতুন একটি শাখা খোলা হয়েছে। ওই শাখার মাধ্যমেই অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপ-সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার ব্যক্তিগত বিষয় দেখভাল করা হবে। বিষয়টি সম্পর্কে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাই মেধাবী প্রশাসন। দলবাজ প্রশাসন লেজুড়বৃত্তি ছাড়া জাতিকে কিছু দিতে পারে না।
এসব কারণে জনপ্রশাসনে কিছু সংস্কার আনা হচ্ছে। এখন ডিও লেটার নিয়ে কেউ দৌড়াদৌড়ি করলে ভবিষ্যতে ধরা খেতে পারেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসনে বিভিন্ন স্তরে পদোন্নতি ডামাডোল বেজে উঠলে ডিও লেটারের হিড়িক লেগে যায়। অনেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য ও সরকারি পদে কর্মরত উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে ডিও লেটার নিয়ে থাকেন। এসব তদবিরের যন্ত্রণা সামলাতে জনপ্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হিমশিম খান।
এছাড়া, প্রশাসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পোস্টিংয়ের সময় স্থানীয় সংসদ সদস্যরা ডিও লেটার দেন। অনেকে সশরীরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এসে তদবির করেন। এসব তদবিরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এপিডি উইংয়ে শাখা সৃষ্টির পাশাপাশি কাজের নতুন কর্মবণ্টন তৈরি করা হয়েছে। নতুন কর্মবণ্টনের মাধ্যমে প্রতিটি শাখার কাজ সমান করা হয়েছে। এ কারণে প্রতিটি কাজের চাপ সমান থাকবে। এদিকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর প্রশাসনে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হবে। এটা থেকে উত্তরণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দুটি নতুন উইং খোলার চিন্তা-ভাবনা করছে। এর মধ্যে একটি হবে গবেষণা উইং ও অন্যটি আইন উইং।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম  বলেন, আগামীর ভাবনায় গবেষণা উইং খোলার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের চাকরি সংক্রান্ত মামলার রায়গুলো খতিয়ে দেখতে আলাদা আইন উইং খোলার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *