শিক্ষাকে দেশের গণমানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কলেজ শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচীর আধুনিকীকরণ ও উন্নতি সাধন এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা বৃদ্ধিসহ কলেজের যাবতীয় বিষয় ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সুনির্দিষ্টভাবে ন্যস্ত করার প্রয়োজনে ১৯৯২ সালে তৎকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ২১ শতকের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়”। এ কথা সত্য যে, ১৯৯২ সালের পূর্বে দেশের প্রায় ১৩০০ বিভিন্ন ক্যাটাগরীর কলেজ, ঢাকা চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। কলেজ শিক্ষামানের অবণতি ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ থেকে মুক্তির জন্য একই কারিকুলামের অধীনে কলেজগুলোকে পরিচালনার জন্য মূলত: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি। বর্তমানে ২০০০ স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও প্রফেশনাল কলেজের প্রায় ১৩ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ও প্রফেশনাল কলেজসমূহের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃংখলা ফিরিয়ে এনে ১টি আদর্শ ঈবহঃৎব ভড়ৎ বীপবষষবহপব ঐরমযবৎ ঝঃঁফু এর মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই মহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এগুতে থাকলেও শুরুতে হোচট খেয়ে লক্ষ্যহীন হয়ে পড়ে। সেই সময়ের সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও আত্মীয়করণ এর জন্য দায়ী। গত ১০ মে ২০০৯ দৈনিক প্রথম আলোর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকার আাদের একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে এটাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বিপক্ষে দেশব্যাপী শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অবিভাবক মিডিয়া বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজানোর কথা বলেছেন। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ২৯/০৫/২০০৯ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় লিখেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকারের মাথা ব্যথা আছে আমরা বুঝি। আদজমী নিয়ে সরকারের মাথা ব্যথা ছিল। মাথাটা গুড়িয়ে দিয়ে সরকার সেই ব্যথার শুশ্র“ষা করেছিল। তবে এটা আদর্শ পন্থা নয়। মাথাটা রেখেই মাথা ব্যথার নিদান খুঁজতে হবে। ২৯ মে ২০০৯ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে বিশিষ্টজনদের অভিমত শিরোনামে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. আজিজুর রহমান, বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্রালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী এহতেশাম দ্বীন মোহাম্মদ, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রসেফর ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো না ভেঙ্গে একে সমন্বয় করে গড়ে তুললে এমনকি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলো যাতে গুণগত মানের ডিগ্রী পায় সে দিকে মনিটরিং এর ব্যবস্থা করলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আবার দাঁড়াতে সমর্থ হবে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৮ জুন ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত অর্থনীতি সমিতির সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমেশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ছাত্র শিক্ষক বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি বিভাগীয় অফিস সৃষ্টি করে দক্ষ জনবলের মাধ্যমে এর কার্যক্রম জোরদার করা হবে। পরবর্তীতে ৬টি বিভাগীয় অফিস পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপদান করা হতে পারে (এটিএন বাংলা ০৮/০৭/২০০৯)।
পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম রংপুর ও সিলেটে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন। সেশনজট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বিষ ফোঁড়ার মতো অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেমন- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২-৩ বছরের সেশন জট রয়েছে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এই সেশনজট নিরসনের জন্য ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে অনার্স ও ডিগ্রী কোর্সে ক্লাশ শুরুর ৪ বৎসরের অনার্স এবং ৩ বছরের ডিগ্রী (পাস) কোর্স শেষ করার নিমিত্তে অগ্রিম একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল অতি দ্রুত প্রকাশ করার লক্ষ্য নিয়ে এবং দ্বিতীয় পরীক্ষক বাতিল করে প্রধান পরীক্ষকের তত্ত্বাবধানে একক পরীক্ষক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। কলেজ থেকে টিউটোরিয়াল, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা এবং অন্যান্য নম্বর অনলাইনে সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন পরীক্ষার উত্তরপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রেরণ এবং পরীক্ষা শেষে পরীক্ষকদের নিকট বিতরণে গাজীপুর মেইন ক্যাম্পাসের পরিবর্তে আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ থেকে তা সম্পন্ন করা হচ্ছে। স্নাতক, স্নাতক সম্মান ও মাস্টার্সের কোর্স ও সিলেবাস যুগোপযোগী করে কারিকুলাম পুনঃবিন্যস্ত করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনলাইন ও ই-মেইলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হয়েছে। অধিভুক্ত কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পানে থিসিসহ দেড় বছর মেয়াদী প্রাথমিকভাবে ৪টি বিষয় নিয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে এবং এ সমান থেকে ডিগ্রী প্রাপ্তদের সরাসরি পিএইচ.ডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ প্রদান করা হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের সুবিধা জন্য একদিনেই মূল সনদ, মার্কশীট, ট্রান্সক্রিপ্ট দ্বি-নকল, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড সরবরাহ করা হয় যা অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ দিন লাগে। কলেজ শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক নিয়মিত ও ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান কর্মসূচী। সম্প্রতি শিক্ষক প্রশিক্ষণের অতি ধীরগতি পরিবর্তন করে আনা হয়েছে অভিনব পদ্ধতি। পূর্বে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল ৪৫ দিন। এই দীর্ঘসময় ট্রেনিং-এ শিক্ষকেরা বোরিং ফিল করতো। বর্তমানে ৩০ দিনে এই ট্রেনিং সমাপ্ত হবে। ৩টি বিষয়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এক সাথে চলবে। বর্তমানে ৮৫তম শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স চলছে। প্রশিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী সকাল ৮/৩০ থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আঞ্চলিক কেন্দ্র সমূহের কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহযোগিতা ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া জোরদার করা হয়েছে। পূর্বে পরীক্ষকদের সম্মানী বিল ডাকযোগে পাঠানো হতো। এর মাধ্যমে অনেক পরীক্ষক হয়রানীর শিকার হতেন। বর্তমানে পরীক্ষকদের পরিতোষিত ও সম্মানী বিল সোনালী সেবার মাধ্যমে অনলাইনে দ্রুত প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তরপত্র পরীক্ষণ ও পরীক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও ত্র“টিমুক্ত করা এবং দ্রুত ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে শিক্ষক ডাটাবেজ তৈরীর কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
অতি সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারী কলেজগুলোকে বিভাগীয় পর্যায়ে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্থানান্তরের চিন্তা-ভাবনা করছে। সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্ত সকলেই মানতে বাধ্য, কিন্তু ২৩ বছর পূর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতার ইতিহাসে আবার ফিরে যাওয়া কি ঠিক হবে? ১৯৯২ সালের পূর্বে বাংলাদেশের ১৩০০ কলেজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। সেই সময়ের চরম সেশনজট ও ছাত্র রাজনীতির যাঁতাকলে নিদারূণ পিষ্ঠ হয়ে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। কথিত আছে যে, সেই সময় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক কলেজ-এর ছাত্র ও শিক্ষকেরা চরমভাবে হয়রানীর শিকার হয়েছেন। এমনকি কেউ কেউ প্রহৃতও হয়েছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক কারণে ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ফলে মাসের পর মাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে। বিনিময়ে সেশনজট তৈরী হয়। সরকারী কলেজগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করলে ছাত্র সংঘর্ষের এই নেতিবাচক প্রভাব এই কলেজগুলোর উপর পড়বে। ফলে সেশনজট আরও তীব্রতর হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কারণে কোনো ছাত্র ভায়োলেন্স হয় না। কলেজে রাজনৈতিক কারণে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার উপর কোন প্রভাব পড়ে না। এমনিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হয় সকলের শেষে। কারণ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হলো অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চান্স না পাওয়া ছাত্র/ছাত্রীদের আশ্রয় স্থল। সুতরাং সকলের শেষে ভর্তি পরীক্ষার কারণে ১ বছরের সেশনজট মাথায় নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে তার কার্যক্রম শুরু করতে হয়। সরকারী বেসরকারী চাকুরীর পরীক্ষাগুলো বিভিন্ন কলেজে গ্রহণ করতে হয়। তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরা বৎসর পরীক্ষা লেগেই থাকে। এর ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় বিঘœ ঘটে। সঠিক সময়ে সিলেবাস শেষ করা যায় না বরং নতুন করে সেশনজট যোগ হয়। কলেজ শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীদের দাবি সরকারী বেসরকারী চাকুরী পরীক্ষা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাগুলো গ্রহণ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর সমন্বয়ে থানা ও জেলা পর্যায়ে আলাদা পরীক্ষা ভবন নির্মাণ করে সেশনজট নিরসন করা যায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশের ১৩ লক্ষাধিক ছাত্র/ছাত্রীর ভাগ্য জড়িত। মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কাটা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেঙ্গে দিলে দেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশৃংখলা পরিবেশের সৃষ্টি হবে। অতীত অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন পত্র/পত্রিকা, শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের মতামতকে কর্তৃপক্ষ সম্মান দেখিয়ে বিভাগীয় আঞ্চলিক অফিসগুলোর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এর একটি আশু সমাধান হবে বলে জাতি প্রত্যাশা করে।
লেখক : একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের
সহকারী রেজিষ্ট্রার, [email protected],
Mobile : 01728069330
০১৭২৮০৬৯৩৩০