ওই বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়নের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।’
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া এবং রাষ্ট্রপতি সময়ে সময়ে যেরূপ নির্দেশ করিবেন, সেইরূপ সংখ্যক অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলি-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’
বৈঠকে উপস্থিত দুজন নেতা বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তার প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা রয়েছে। আশা করি, গতবারের মতো সার্চ কমিটির মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন উপহার দিতে পারবেন। ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাই এই অল্প সময়ের মধ্যে সার্চ কমিটির মাধ্যমেই ইসি গঠনই সর্বোত্তম পন্থা।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের আইন হওয়া উচিত। এটা আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। তবে এবার করা যাবে কি না, এটা সুস্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। এমন হতেও পারে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মতো সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলো। আর রাষ্ট্রপতি যেসব পদক্ষেপ নেবেন, হয়তো সেগুলো পরে আইনে পরিণত হতে পারে।’