ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই তালুকদার বলেন, ভূতেরগাড়ি এলাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশের ভয় পেয়ে অনেকে দৌড়ে পালিয়ে গেছে। এদের মধ্যে একজন পুকুরে পড়ে যায়। তবে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য ঈশ্বরদী থানা থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন কলেজছাত্র জানান, তাঁরা কয়েকজন বন্ধু ক্রিকেট খেলা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দুজন সাদা পোশাকধারী দুই পুলিশ সদস্য মাদকের আসর কোথায় বসে, তা জানতে চান। তাঁরা ওই পুকুরপাড় দেখিয়ে দিলে পুলিশ সেখানে গিয়ে সবাইকে ধাওয়া করেন। সেখানে থাকা ১৭ থেকে ১৮ জন ব্যক্তি ভয়ে দৌড় দেন। এ সময় তাঁদের একজন পুলিশের ভয়ে পুকুরে লাফ দেন। কিন্তু সাঁতার না জানায় তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে ডুবে যান। তিনিসহ চারজন পুকুরে নেমে ওই নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে উপস্থিত দুই পুলিশও পুকুরে নামেন। কিন্তু দুই ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও ওই ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি। পরে খবর পেয়ে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোজাম্মেল হক বলেন, স্থানীয়ভাবে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হওয়ায় রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিকে খবর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবেও অনেকে জাল দিয়েও উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।