গ্রাম বাংলা ডেস্ক: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সময় মো: লিটন নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন আহত হয়। রোববার বিকেলে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত উভয় পক্ষের লোকদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় আফিয়া, রোমানা, আক্তার হোসেন, তাহের আলী, শাহাদাত মিয়া বাদশা, তুহিনসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রোববার রাতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সোনারগাঁও থানার ওসি তদন্ত হারুন অর রশিদ ও এলাকাবাসী জানান, হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবসায়ীক দন্দ্ব ও কাঁচপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কতুবপুর গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে লিটনের সাথে একই গ্রামের ডালিম, সেলিম, ইমরান, রাসেল ও তার লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে রোববার বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজন লিটনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে গুরতর আহত করে। খবর পেয়ে লিটনের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ইসমাইল, আবু তাহের ও আসিয়াসহ ৯ জন আহত হয়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে। রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত লিটনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী আকলিমা ও বোন রাশেদা আক্তার জানান, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইমরান, ডালিম, রাসেল, বজলু ও কামাল বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে লিটনকে কুপিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।