আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ বলা হয়েছে, আমাজন নদের তীরে অবস্থিত কারাগারটি মানাউস শহরের একটি বড় কারাগার। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ শুরু হলেও তা আজ সকাল সাতটার দিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় অনেক কয়েদি পালিয়ে গেছেন।
আমাজন অঙ্গরাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান সার্জিও ফন্তেস বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে কারাগারে থাকা মাদক চোরাচালানকারী দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। তবে ব্যাপারটি খুব ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ঘটনার সুযোগে কতজন কয়েদি পালিয়ে গেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সার্জিও ফন্তেস আরও বলেন, সংঘর্ষের বিবদমান পক্ষ দুটি ৭৪ জন কয়েদিকে জিম্মি করে রেখেছিল। কয়েকজনকে তারা হত্যা করেছে। পরে বাকিদের ছেড়ে দিয়েছে।
এম টেম্পো নামে মানাউসের একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের সময় কারাগারের দেয়ালের ওপর দিয়ে শিরশ্ছেদ করা অনেক লাশ ছুড়ে ফেলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের সময় বিবদমান ওই পক্ষ দুটির সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে। তারা ১২ জন কারারক্ষীকে জিম্মি করে রেখেছিল।
দেশটির কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি কয়েদি রাখা এবং প্রায় সময় কারাগারে সহিংস সংঘর্ষের ঘটনায় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলো ব্রাজিলের সমালোচনা করে আসছে।