আমাকে বাঁচাতে হলে দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে

Slider রাজনীতি

47286_b3

 

ঢাকা; আগামী জাতীয় নির্বাচনকে জীবনের শেষ নির্বাচন মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বলেন, ‘জীবনের শেষ প্রান্তে এসে গেছি। কতদিন আর বাঁচব…।
আমাকে বাঁচাতে হলে জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। আমাকে নতুন জীবন দাও।’
গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এরশাদ এসব কথা বলেন। নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রায় দুই বছর পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করল জাতীয় পার্টি। সকাল সোয়া ১০টায় শুরু হয় সমাবেশ। দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এবং সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ওড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, আমরা একক নির্বাচনে ফলাফল ভালো করেছিলাম। জোটগত নির্বাচন করে আমাদের আসন কমেছে, আজকের মহাসমাবেশ প্রমাণ করে জাতীয় পার্টি এককভাবেই ক্ষমতা যাওয়ার শক্তি অর্জন করেছে ‘ক্ষমতায় গেলে আমরা প্রাদেশিক সরকার করবো। এই সরকার দিয়ে আমরা উপকৃত হইনি, নিষ্পেষিত হয়েছি। এভাবে দেশ চলতে পারে না। তাই প্রাদেশিক সরকার চাই।’
তিনি বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা করবো। প্রত্যেক উপজেলায় গুচ্ছগ্রাম করে দেবো। এখন যা আছে- তাতে উপজেলা শাসন করেন ইউএনও। আমরা উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী করবো। কারণ আমরা চাই জনগণের নেতা জনগণকে শাসন করবে।’ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংসদ, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা করবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার শেষ জীবনের চাওয়া- জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চাই। দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য শক্তি প্রয়োজন, নির্ভর করছে তোমাদের ওপর। দলকে শক্তিশালী করুন।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার,  প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম ফয়সল চিশতী, হাজী সাইফুদ্দিন মিলন, তাজ রহমান, মেজর (অব) খালেদ আখতার, আশরাফ সিদ্দিকী, একেএম আসরাফুজ্জামান খান প্রমুখ। সমাবেশে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বক্তব্য রাখার সময় কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখার দাবি জানায়। একইভাবে রওশন এরশাদ বক্তব্য শুরু করলে কর্মীরা এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের কি করলেন জানতে চায়। একপর্যায়ে পুরো মাঠের কর্মীরা এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় এরশাদ উত্তেজিত কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *