গাইবান্ধা: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সুন্দরগঞ্জ হরতাল চলছে।
রবিবার সকাল থেকে এ হরতাল পালন শুরু করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর প্রতিবাদে হজরতাল পালন করছি। একই সঙ্গে দোষীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
হরতাল চলাকালে পৌর এলাকার সকল দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ দেখা গেছে। এছাড়া সকল প্রকার যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, বামনডাঙ্গা এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ হরতালের সঙ্গে একাত্ত্বতা ঘোষণা করে তারাও হরতাল পালন করছে। সকাল ৮টায় বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল ট্রেন আসলে বিক্ষুদ্ধ জনতা ট্রেনটি আটকে রাখে। সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ট্রেনটি ছেড়ে যায়নি। ফলে যাত্রী সাধারণ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
এছাড়া লিটন হত্যার ঘটনায় তার নিজ ইউনিয়ন বামনডাঙ্গাসহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বন্ধ থাকা সকল দোকান-পাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ কালো ব্যাচ ধারণ করেছেন।
অপরদিকে, সকাল থেকে হরতাল চলাকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা এলাকায় বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ। সকাল থেকে পৃথকভাবে এসব বিক্ষোভ মিছিল থেকে এমপি লিটনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানানো হয়।