সরকারদলীয় সাংসদ মনজুরুল ইসলামকে (লিটন) হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আজ রোববার সকাল থেকে হরতাল চলছে। বামনডাঙা স্টেশনে সান্তাহারগামী একটি ট্রেন সকাল সাড়ে আটটা থেকে আটকে রেখেছে সাংসদের সমর্থকেরা। সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে সাংসদের লাশ ঢাকায় আনা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনে তাঁর জানাজা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
গাইবান্ধা সদরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের সাহাবাজ গ্রামে ঘরে ঢুকে সাংসদ মনজুরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ ঘটনায় জামায়াত অথবা উগ্রপন্থীদের সন্দেহ করছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাংসদের এপিএস জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, গতকাল রাতে সাংসদের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হবে। জাতীয় সংসদ ভবনে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তিনি তাঁদের নাম বলেননি।
বামনডাঙা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নাদিম হোসেন বলেন, সাংসদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত হরতাল চলবে।
প্রসঙ্গত, সুন্দরগঞ্জের শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি ছিলেন সাংসদ মনজুরুল। তিনি জামিনে ছিলেন।