ভারত; চিটফান্ড জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিনেতা তাপস পালকে।
আজ শুক্রবার সল্টলেকের সিবিআই দপ্তওে দুই দফায় চার ঘন্টা জেরার পর সিবিআই তাপস পালকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানানো হয়েছে । বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। এই চিটফান্ড সংস্থার ফিল্ম ডিভিশনের পিরেক্টরও ছিলেন তাপস পাল। এদিন সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদেও জেরায় বহু প্রশ্নের তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। নগদে টাকা নেওয়া বা ব্ল্যাক মেইল কওে টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েচেন। সিবিঅআইয়ের হাতে তথ্য প্রমান থাকা সত্তেও বহু প্রশ্নের তিনি সদুত্তর দেন নি। আর তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রযোজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সিবিআই দিল্লির সবুজ সংকেত চেয়েছিল। সেই সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই এদিন দুপুরের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের মতে, তাপস পালকে জেলা করে জানা সম্ভব হবে আরও কোন কোন প্রভাবশালী ব্যাক্তি এই চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন সমযে অর্থ নিয়েছেন। এর আগে সারদা চিটফান্ড সংস্থার তদন্তে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গেও পরিবহন মন্ত্রী মদন পালকে। দীর্ঘ দুই বছর জেলে থাকার পর বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। এদিনও তৃণমূল কংগ্রেস সুত্রে তাপস পালের গ্রেপ্তারি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ কওে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়েই এ সব করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালেই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই-এর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সিবিআই সুত্রের খবর, রোজভ্যালি এন্টারটেইনমেন্ট এবং ফিল্ম ডিভিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাপস পাল এবং তাঁর স্ত্রী, দুজনই। তদন্তে সিবিআই গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছিল বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অনেক তথ্য। গতবছর মার্চে তৃণমূল সাংসদের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে সিবিআই তল্লাাসিও করেছিল। বাজেয়াপ্ত করেছিল রোজভ্যালি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি। গত মঙ্গলবারই তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তাপস পালের বাড়ি গিয়ে নোটিস দিয়ে দিয়ে এসেছিলেন সিবিআইয়ের প্রতিনিধি। করা হয়েছিল মেলও । এদিকে চিটফান্ড সংস্থা অর্থ জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে সিবিআই তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গত সপ্তাহে হাজিরা দেবার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে।