ঢাকা; প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৮ টির ১৪টিতেই জয় পেয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তারা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ২৪ জন জয়ী হয়েছেন।
বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল জেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করায় ২১টিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ৩৮টি জেলায় বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নিরুত্তাপ এ নির্বাচনে বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা উত্তাপ ছড়িয়েছেন। নির্বাচনের দিনেও বেশ কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় রাজনীতিতে মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব বলয়ের বাইরে বেশিরভাগ বিদ্রোহী প্রার্থী নিজ জনপ্রিয়তায় নির্বাচনে লড়েন। এছাড়া বিএনপি-জামায়াত ঘেঁষা জনপ্রতিনিধিরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়ে বড় ভুমিকা রাখেন। এদিকে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- জামালপুরে ফারুক আহমেদ চৌধুরী, মেহেরপুরে গোলাম রসূল, রাজশাহীতে মোহাম্মদ আলী সরদার, শেরপুরে হুমায়ুন কবির রোমান, পিরোজপুরে মহিউদ্দিন মহারাজ, বরিশালে মইদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গায় শামসুল আবেদীন খোকন, সাতক্ষীরায় নজরুল ইসলাম, নড়াইলে সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পঞ্চগড়ে আমানুল্লাহ বাচ্চু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শফিকুল আলম, নীলফামারীতে জয়নাল আবদীন, গাইবান্ধায় আতাউর রহমান সরকার ও সুনামগঞ্জে নুরুল হুদা মুকুট। বিজয়ী ২৪ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হলেন- মৌলভীবাজারে আজিজুর রহমান, নরসিংদীতে আসাদুজ্জামান, চাঁদপুরে ওসমান গণি পাটোয়ারী, ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস, মাগুরায় পঙ্কজ কুন্ডু, কুড়িগ্রামে জাফর আলী, রংপুরে ছাফিয়া খানম, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, বরগুনায় দেলোয়ার হোসেন, লক্ষ্মীপুরে শামসুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মইনুদ্দিন ম-ল, পটুয়াখালীতে খান মোশাররফ হোসেন, পাবনায় রেজাউল রহিম লাল, লালমনিরহাটে মতিয়ার রহমান, মাদারীপুরে মিয়াজ উদ্দিন খান, খুলনায় শেখ হারুনুর রশিদ, সিলেটে লুৎফুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দিন, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, রাজবাড়ীতে ফকির আবদুল জব্বার, কুমিল্লায় আবু তাহের, নোয়াখালীতে এ বি এম জাফরুল্লাহ, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ও গোপালগঞ্জে চৌধুরী ইমদাদুল হক।