ঢাকা; ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. মুহম্মদ ইউনুসকে অপসারণ করা হয়
বিগত ৩০ বছর গ্রামীণ ব্যাংক কমপ্লেক্সে বাস করার পর সেই বাড়ি ছেড়ে গুলশানে নতুন ভাড়া বাসায় উঠেছেন নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনুস। গত বুধবার তিনি নতুন বাসায় উঠেছেন বলে জানিয়েছেন ইউনুস সেন্টারের একজন কর্মকর্তা।
ইউনুস সেন্টারের মহাব্যবস্থাপক আমির খসরু বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, পারিবারিক কারণেই গ্রামীণ ব্যাংক কমপ্লেক্সে বাসভবন ছেড়েছেন মি. ইউনুস। কোনরকম সরকারি নির্দেশনা বা চাপ ছিলনা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মি. খসরু এক আবেগপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, “দীর্ঘ ৩০ বছর গ্রামীণ ব্যাংক কমপ্লেক্সে বসবাস করেছেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস।
কিন্তু আমরা আর তাকে ধরে রাখতে পারলাম না। তিনি আমাদের চোখের জলে ভাসিয়ে নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমালেন।”
সেই স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়, ড. মুহম্মদ ইউনুস অনেক আগেই এই বাসভবন ছাড়তে চাইলেও, এতদিন গ্রামীণ পরিবারের অনুরোধে তা পারেননি।
স্ট্যাটাসটিতে আরো বলা হয়েছে, “২০০৬ সালের মতো তাঁর সাথেই আবার আনন্দে মেতে ওঠার আশায় থাকবো। আমরা আপনার সাথে আছি, স্যার। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আরও হাজার বছর।”
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পান মি. ইউনুস।
অবসর গ্রহণের সময়সীমা নিয়ে এক বিতর্কের পর ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. মুহম্মদ ইউনুসকে অপসারণ করা হয়।
তবে ড. ইউনুসের পক্ষে-বিপক্ষে ক্যাম্পেইন অথবা তাকে ঘিরে নানারকম বিতর্ক ও আলোচনা রয়েছে।
অগাস্টে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এপি এক প্রতিবেদনে জানায়, হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে গ্রামীণ আমেরিকা, যে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন মি. ইউনুস, ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে এক লাখ থেকে আড়াই লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে।
গ্রামীণ রিসার্চ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান, যেটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও রয়েছেন মি. ইউনুস, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেও ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার অনুদান দেয়া হয়েছে।