লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ বোমা মেশিনে পাথর উত্তোলনের কারনে হুমকীর মুখে পড়েছে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ। কোন ভাবেই থামছে না তিস্তা ব্যাজের কাছেই এই পাথর উত্তেলন।
ব্যারাজের বাম তীর রক্ষা বাাঁধের নিচে অর্ধশত বোমা মেশিনে উত্তোলন করা হচ্ছে পাথর ও বালু। এর ঠিক দেড়/দুই শত গজ দুরেই রয়েছে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবেই প্রতিনিয়ত বাড়ছে বোমা মেশিনের সংখ্যা। ফলে হুমকীর মুখে পড়ছে এ সেচ প্রকল্পটি।
স্থানীয়রা জানান, নীলফামারী জেলার ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়ার লক্ষ্যে নব্বই দশকে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের সাধুর বাজার এলাকায় এ সেচ প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করে। এ ব্যারাজের বাম ও ডান তীর রক্ষার জন্য সিসি ব্লোক দিয়ে রক্ষা বাঁধও নির্মান করা হয়। যার মধ্যে বাম তীর রক্ষা বাঁধটি সম্পুন্নরুপে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ও সানিয়াজান ইউনিয়নের মধ্যে পড়ে। যা ওই সময় দেড় কিলোমিটার বাঁধ নির্মান করেই কাজের সমাপ্ত করা হয়।
ব্যারাজের আনসার ক্যাম্পের পিছনে সেই বাঁধটির নিচেই তিস্তা নদীতে বসানো হয়েছে অর্ধশত বোমা মেশিন। এসব বোমা মেশিনে প্রতিদিন উঠছে পাথর ও বালু। ফলে বাঁধটিসহ তিস্তা ব্যারাজ হুমকীর মুখে পড়েছে। যেকোন মুহুর্তে ধ্বসে যেতে পারে বাঁধসহ তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পটি। আর এ বাঁধটি ধ্বসে গেলে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ, লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক ও রেলরুটসহ বেশ কিছু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।
বাঁধে বসতী করা লোকজন জানান, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপ এ পাথর উত্তোলনে সাথে জড়িত। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে পাথর উত্তোলনের কাজ। প্রশসনের তৎপরতার অভাবেই প্রতিনিয়তই বাড়ছে বোমা মেশিনের সংখ্যা।
তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি পাথর উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালানো হলে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রশাসন গেলে তাদের বলা হয় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা। আবার নীলফামারী জেলা প্রশাসন গেলে তাদের বলা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্যে পড়েছে। মুলত পাথর উত্তোলন এলাকাটি হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্যে পড়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ এনামুল কবির জানান, পাথর উত্তোলন বন্ধে নীলফামারী জেলা ও হাতীবান্ধা উপজেলার নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালানো পরিকল্পনা রয়েছে। দ্রুত এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলাউদ্দিন খান জানান, নদী থেকে বালু বা পাথর উত্তোলনের কোন অনুমতি নেই। কেউ এসব কাজে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।