বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, শ্রমিক ভাইবোনদের অনুরোধ ও সার্বিক অর্থনীতির দিক বিবেচনা করে আশুলিয়ার যে ৫৯ কারখানা বন্ধ আছে, সেগুলো সোমবার খুলে দেওয়া হবে।
বিজিএমইএর ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকালে আশুলিয়ার বন্ধ পোশাক কারখানাগুলো আবার খোলে। আগের মতোই শ্রমিকেরা দলে দলে নিজ নিজ কারখানায় প্রবেশ করে কাজে যোগ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের ভাষ্য, খুলে দেওয়া কারখানাগুলোর সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছেন।
সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্ধ কারখানাগুলো খুলেছে। শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি।
শারমিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, কারখানা খুলে দেওয়ার পর শ্রমিকেরা এসে কাজ শুরু করেছেন। তাঁরা কোনো দাবি তোলেননি। কারখানার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
তবে সেড ফ্যাশনের শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানায় ঢোকার সময় তাঁদের শর্ত দেওয়া হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে শর্ত ছাড়াই কারখানায় ঢুকে কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা।
মজুরি বৃদ্ধি, নানা অজুহাতে ছাঁটাই বন্ধ, দুপুরে খাবারের ভাতা, রাত্রিকালীন অতিরিক্ত কাজের ভাতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা নয় দিন শ্রমিক আন্দোলনের পর গত মঙ্গলবার বিকেলে আশুলিয়ার ৫৫ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিজিএমইএ। বন্ধ থাকার সময়ে শ্রমিকেরা মজুরি পাবেন না—এমন কথাও বলা হয়। পরদিন সকালে আরও চারটি কারখানা বন্ধ করেন মালিকেরা। গত শনিবার থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি কারখানা চালু হয়।