চট্টগ্রাম; স্কুলে ‘দুষ্ট’ ছেলে ছিলেন আজকের নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে দুষ্ট হলেও পড়ালেখায় ছিলেন সবার রাজা। বাবার দেয়া বাস ভাড়ার কয়েক আনা বাঁচিয়ে বন্ধুদের নিয়ে উজালা সিনেমার পাশে ভাসমিয়া রেস্টুরেন্টে গিয়ে আয়েশ করে সিঙ্গারা আর চা খেতেন।
কেবল তাই নয়, বন্ধুদের সুন্দর নাম পরিবর্তন করে কাউকে সুমইননা, কুদ্দুইচ্ছা কিংবা ইউনূসইয়া বলে ডাকতে দেরি করতেন না। তবে সংগঠন চালানোর মন্ত্রণা তিনি প্রথম শিখেছিলেন স্কুল জীবনের স্কাউট কার্যক্রম থেকে। গতকাল নিজের বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুলের গৌরবময় ১৮০ বছরপূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে যান ড. ইউনূস। নিজের শৈশব আর দুরন্তপনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে ফিরে গেলেন ৬১ বছর আগের ক্যালেন্ডারের পাতায়। ১৯৫৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকেই মেট্রিকুলেশন পাস করেছিলেন এই নোবেল বিজয়ী।
অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের বক্তব্য শুনে তরুণরা তার সঙ্গে ছবি তুলতে ভিড় করেন। কেউবা সেলফি কিংবা ক্যামেরায় দৃশ্যটা বন্দি করে রাখতে ভুল করেননি। ২০ মিনিটের বেশি বক্তব্যে ড. ইউনূসের বেশির ভাগই ছিলো তার ফেলে আসা শৈশব, আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে নিজের প্রত্যাশা, এগিয়ে যাওয়ার সাহস সঞ্চার নিয়ে অনেক গল্প।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমার বাড়ি চাটগাঁ শহরের বকশিরহাটে। আমি সেখানকার ছেলে। বকশিরহাট থেকে প্রতিদিন কলেজিয়েট স্কুলে আসতে হতো কখনো বাসে, কখনো পায়ে হেঁটে। প্রথমে বাসা থেকে বেরিয়ে হেঁটে আন্দরকিল্লায় চলে আসতাম। সেখান থেকে বাসে চড়ে কালীবাড়ি এলাকায় নেমে হেঁটে স্কুলে। আজ ভীষণ মনে পড়ছে আমার সেই দিনের কথা।
তিনি আরো বলেন, বাসভাড়া ছিল ২ আনা। কিন্তু বাবা দিতো চার আনা। এর মধ্যে মাখন বন খাওয়ার জন্য কিছু পয়সা জমিয়ে রাখতাম। এখনো সেইসব দৃশ্য চোখে ভাসছে। কিভাবে যে সময় চলে যায় তা বুঝতে পারি না।
বন্ধুদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, স্কুলে বন্ধুদের একেক জনকে একেক নামে ডাকতাম। যেমন: কারো সুমইননা, কুদ্দুছইচ্ছা বা ইউনূসইয়া। নাম বিকৃত করতে স্যারেরাও বাদ থাকতো না। আজ অবধি আমরা ওই নামে বন্ধুদের চিনি। ভালো নামে অনেকে অনেকজনকে চিনে না।
সংগঠন চালানোর কৌশল শিখতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ১২ বছর বয়সে কলেজিয়েট স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি হই। এখানে বয়েজ স্কাউট করতাম। এ বয়েজ স্কাউটের মাধ্যমে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমাকে বেশি উৎসাহ দিতেন তৎকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও বয়েজ স্কাউট মাস্টার কাজী সিরাজুল ইসলাম স্যার।
অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস ছাড়াও আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েটস-এর সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, সদস্য সচিব মোহাম্মদ মোস্তাক হোসাইন। পরে ইউনূসসহ সবার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। সন্ধ্যায় মন-মাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন অনিরুদ্ধ সেনগুপ্ত, দিনাত জাহান মুন্নী, ব্যান্ডদল মাইলস ও অর্থহীন।
কেবল তাই নয়, বন্ধুদের সুন্দর নাম পরিবর্তন করে কাউকে সুমইননা, কুদ্দুইচ্ছা কিংবা ইউনূসইয়া বলে ডাকতে দেরি করতেন না। তবে সংগঠন চালানোর মন্ত্রণা তিনি প্রথম শিখেছিলেন স্কুল জীবনের স্কাউট কার্যক্রম থেকে। গতকাল নিজের বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুলের গৌরবময় ১৮০ বছরপূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে যান ড. ইউনূস। নিজের শৈশব আর দুরন্তপনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে ফিরে গেলেন ৬১ বছর আগের ক্যালেন্ডারের পাতায়। ১৯৫৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকেই মেট্রিকুলেশন পাস করেছিলেন এই নোবেল বিজয়ী।
অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের বক্তব্য শুনে তরুণরা তার সঙ্গে ছবি তুলতে ভিড় করেন। কেউবা সেলফি কিংবা ক্যামেরায় দৃশ্যটা বন্দি করে রাখতে ভুল করেননি। ২০ মিনিটের বেশি বক্তব্যে ড. ইউনূসের বেশির ভাগই ছিলো তার ফেলে আসা শৈশব, আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে নিজের প্রত্যাশা, এগিয়ে যাওয়ার সাহস সঞ্চার নিয়ে অনেক গল্প।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমার বাড়ি চাটগাঁ শহরের বকশিরহাটে। আমি সেখানকার ছেলে। বকশিরহাট থেকে প্রতিদিন কলেজিয়েট স্কুলে আসতে হতো কখনো বাসে, কখনো পায়ে হেঁটে। প্রথমে বাসা থেকে বেরিয়ে হেঁটে আন্দরকিল্লায় চলে আসতাম। সেখান থেকে বাসে চড়ে কালীবাড়ি এলাকায় নেমে হেঁটে স্কুলে। আজ ভীষণ মনে পড়ছে আমার সেই দিনের কথা।
তিনি আরো বলেন, বাসভাড়া ছিল ২ আনা। কিন্তু বাবা দিতো চার আনা। এর মধ্যে মাখন বন খাওয়ার জন্য কিছু পয়সা জমিয়ে রাখতাম। এখনো সেইসব দৃশ্য চোখে ভাসছে। কিভাবে যে সময় চলে যায় তা বুঝতে পারি না।
বন্ধুদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, স্কুলে বন্ধুদের একেক জনকে একেক নামে ডাকতাম। যেমন: কারো সুমইননা, কুদ্দুছইচ্ছা বা ইউনূসইয়া। নাম বিকৃত করতে স্যারেরাও বাদ থাকতো না। আজ অবধি আমরা ওই নামে বন্ধুদের চিনি। ভালো নামে অনেকে অনেকজনকে চিনে না।
সংগঠন চালানোর কৌশল শিখতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ১২ বছর বয়সে কলেজিয়েট স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি হই। এখানে বয়েজ স্কাউট করতাম। এ বয়েজ স্কাউটের মাধ্যমে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমাকে বেশি উৎসাহ দিতেন তৎকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও বয়েজ স্কাউট মাস্টার কাজী সিরাজুল ইসলাম স্যার।
অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস ছাড়াও আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েটস-এর সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, সদস্য সচিব মোহাম্মদ মোস্তাক হোসাইন। পরে ইউনূসসহ সবার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। সন্ধ্যায় মন-মাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন অনিরুদ্ধ সেনগুপ্ত, দিনাত জাহান মুন্নী, ব্যান্ডদল মাইলস ও অর্থহীন।