সাখাওয়াতকে উদ্দেশ্য করে আইভী বলেন, বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীর দেয়া নির্বাচনী ইশতেহার দেখবেন তিনি। ইশতেহারে থাকা কল্যাণকর বিষয়গুলো গ্রহণের ব্যাপারে তাঁর ইতিবাচক মনোভাব থাকবে। দু’জন বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। সাখাওয়াতের বাসায় আপেল ও মিষ্টি খান আইভী। সকাল ১১টা ১০ মিনিটে আইভী বাসা থেকে বেরিয়ে নিজের বাসার উদ্দেশে রওনা দেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের আইভী বলেন, ‘আমি বলেছিলাম জয়-পরাজয় যাই হোক আমি সাখাওয়াত ভাইয়ের বাসায় যাবো। আমি সে কথা রেখেছি। তাছাড়া সাখাওয়াত ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক দিন আগের। আমার অনেক কর্মীর মামলা তিনি লড়েছেন। আমি চাই সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে সবাই থাকবো। নারায়ণগঞ্জকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে আমিও অনেক আগে থেকে চেষ্টা করছি। এখন ওনাকে পাশে পাবো আশা করছি। তাছাড়া ওনার দেয়া ইশতেহার থেকে উন্নয়নের জন্য যা যা করার সবই করবো। আমি চাই সবাই মিলে মিশে উন্নয়ন করবো। সাখাওয়াত ভাইও এর বাইরে থাকবেন না।’
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নাসিক নির্বাচনে ৭৯ হাজার ৫৬৭ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচন হন আইভী। নির্বাচনের আগে একটি জাতীয় দৈনিকের গোলটেবিল বৈঠকে এবং প্রচারণার সময় আইভী বলেছিলেন আমি পরাজিত হলে সাখাওয়াত ভাই আমার বাসায় যাবেন মিষ্টি নিয়ে। আর আমি বিজয়ী হলে মিষ্টি নিয়ে সাখাওয়াত ভাইয়ের বাসা যাবো।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৬ই জানুয়ারি বিলুপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন আইভী। ওই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুরুল ইসলাম সরদার পরাজিত হলে তার বাসায়ও মিষ্টি ও ফুল নিয়ে গিয়েছিলেন আইভী।