ঢাকা; মটরশুঁটি। যদিও একটি ফল। মূলত আমরা খাই সবজি হিসেবেই। একবর্ষজীবী মটরশুঁটি শীত মৌসুমে চাষ করা হয় বিশ্বব্যাপী। এর চাষাবাদ চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এর অন্যতম উৎস এই মটরশুঁটি বাংলাদেশেও খুব জনপ্রিয়।
এতে আছে ভিটামিন কে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
কোষের অক্সিডেটিভ ক্ষতির বিরুদ্ধে কাজ করতে দরকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আছে এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মটরশুঁটিতে। ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে মটরশুঁটির জুড়ি মেলা ভার।
এতে থাকা ভিটামিন এ রাতের দৃষ্টিশক্তিকেই রক্ষা করে, ত্বককে সুরক্ষা করে, চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
হার্টের উপযোগী ফাইবারের উৎস সবুজ মটরশুঁটি। যা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখে।
সালাদ হিসেবেতো মটরশুঁটি ব্যবহার করেন অনেকেই।
সর্বোপরি এতে আছে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিন কে।
মটরশুঁটিতে অধিক পরিমাণে আঁশ থাকে। পেট পরিষ্কার রাখতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য ঠেকাতে মটরশুঁটি খাওয়া যেতে পারে অনায়াসে। ফলিক অ্যাসিড যা প্রসূতি মায়েদের জন্য ভীষণ দরকারি। এই উপাদানও পাওয়া যাবে মটরশুঁটিতে।
মটরশুঁটি হাড় শক্ত করে ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করে । বহুল পুষ্টিগুণের আধার এই মটরশুঁটি তাই থাকা চাই রোজ খাবারের মেনুতে।