ঢাকা; পানির নিচে চলাচল করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি যান বা ড্রোন আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে চীন চালকবিহীন এই মার্কিন জলযানটিকে বৃহস্পতিবার আটক করেছে।
চীনের হুঁশিয়ারি
চীনের সমুদ্র উপকূলের কাছে সাগরে সন্দেহভাজন চলাফেরা করার ব্যাপারেও বেইজিং ওয়াশিংটনের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে এই দাবি জানানো হয়।
ফিলিপিনের সমুদ্র উপকূল থেকে চীনের একটি নৌকা এই ড্রোনটিকে আটক করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ড্রোন আটকের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ কাজ করে চীন একটি নজিরবিহীন কাজ করেছে।”চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি সাগরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করছিলো।
শনিবার চীনের কর্মকর্তারা বলেছেন, এখন এই ড্রোনটিকে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে তা নিয়ে দু’দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন।
তবে তারপরেই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় মার্কিন প্রতিক্রিয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এধরনের প্রতিক্রিয়া গঠনমূলক নয় এবং এতে এর কোন সমাধান হবে না।
ফেরত চাইছে ওয়াশিংটন
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সবশেষ এই ঘটনায় চীন বেআইনিভাবে তাদের ড্রোনটিকে আটক করেছে।
চীনারা এই ড্রোনটিকে তুলে নেওয়ার পরপরই পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস সাংবাদিকদের বলেছেন, “এটি আমাদের। এটাতে পরিষ্কার করে লেখা ছিলো এটি আমাদের। আমরা এটি ফেরত চাই। আমরা চাই এরকম ঘটনা যেন আর কখনো না ঘটে।”
মি. ডেভিস বলেছেন, এবিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনকে জানানো হয়েছে।এটি ফেরত দেওয়ার জন্যেও দাবি জানানো হয়েছে চীনের কাছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আমেরিকান একটি গবেষণা জাহাজ, ইউএসএসএস বোডিচের কাজের অংশ হিসাবে ওই ড্রোনটিকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল।
যেভাবে আটক করা হয়
দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপিনের কাছে সুবিক বে থেকে ৫৭ মাইল দূরে ড্রোনটিকে জব্দ করা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা পরীক্ষা করার মতো গবেষণার কাজে এটি ব্যবহার করা হচ্ছিলো।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, বেসামরিক ঠিকাদাররা এই যানটিকে সমুদ্র গবেষণাকাজে পরিচালনা করছিলো।
দক্ষিণ চীন সাগরের এই এলাকাটিকে চীন তাদের নিজেদের সমুদ্র সীমা বলে দাবি করছে। তাতে আপত্তি রয়েছে প্রতিবেশী ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের। ওই সাগরে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে চীন, যা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা চলছে।
ওই দ্বীপে সামরিক অস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে।
চীন – যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আগে থেকেই একটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে যখন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিফোনে চীনের বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলেছেন।
দীর্ঘদিনের মার্কিন রীতিনীতি ভেঙেই মি. ট্রাম্প তাইওয়ানের নেতার সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছেন।এই ঘটনার পর মি. ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জাহাজটি চুরি করেছে। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক কালের ইতিহাসে দুটো দেশের মধ্যে এটাই সবচে বড়ো সামরিক ঘটনা।
এর আগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি বিমানের সাথে চীনের একটি জঙ্গি-বিমানের সংঘর্ষ হয়েছিলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনার পর দক্ষিণ চীন সাগরে যে দুটো দেশেরই সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
চীনের হুঁশিয়ারি
চীনের সমুদ্র উপকূলের কাছে সাগরে সন্দেহভাজন চলাফেরা করার ব্যাপারেও বেইজিং ওয়াশিংটনের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে এই দাবি জানানো হয়।
ফিলিপিনের সমুদ্র উপকূল থেকে চীনের একটি নৌকা এই ড্রোনটিকে আটক করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ড্রোন আটকের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ কাজ করে চীন একটি নজিরবিহীন কাজ করেছে।”চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি সাগরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করছিলো।
শনিবার চীনের কর্মকর্তারা বলেছেন, এখন এই ড্রোনটিকে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে তা নিয়ে দু’দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন।
তবে তারপরেই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় মার্কিন প্রতিক্রিয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এধরনের প্রতিক্রিয়া গঠনমূলক নয় এবং এতে এর কোন সমাধান হবে না।
ফেরত চাইছে ওয়াশিংটন
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সবশেষ এই ঘটনায় চীন বেআইনিভাবে তাদের ড্রোনটিকে আটক করেছে।
চীনারা এই ড্রোনটিকে তুলে নেওয়ার পরপরই পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস সাংবাদিকদের বলেছেন, “এটি আমাদের। এটাতে পরিষ্কার করে লেখা ছিলো এটি আমাদের। আমরা এটি ফেরত চাই। আমরা চাই এরকম ঘটনা যেন আর কখনো না ঘটে।”
মি. ডেভিস বলেছেন, এবিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনকে জানানো হয়েছে।এটি ফেরত দেওয়ার জন্যেও দাবি জানানো হয়েছে চীনের কাছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আমেরিকান একটি গবেষণা জাহাজ, ইউএসএসএস বোডিচের কাজের অংশ হিসাবে ওই ড্রোনটিকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল।
যেভাবে আটক করা হয়
দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপিনের কাছে সুবিক বে থেকে ৫৭ মাইল দূরে ড্রোনটিকে জব্দ করা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা পরীক্ষা করার মতো গবেষণার কাজে এটি ব্যবহার করা হচ্ছিলো।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, বেসামরিক ঠিকাদাররা এই যানটিকে সমুদ্র গবেষণাকাজে পরিচালনা করছিলো।
দক্ষিণ চীন সাগরের এই এলাকাটিকে চীন তাদের নিজেদের সমুদ্র সীমা বলে দাবি করছে। তাতে আপত্তি রয়েছে প্রতিবেশী ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের। ওই সাগরে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে চীন, যা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা চলছে।
ওই দ্বীপে সামরিক অস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে।
চীন – যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আগে থেকেই একটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে যখন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিফোনে চীনের বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলেছেন।
দীর্ঘদিনের মার্কিন রীতিনীতি ভেঙেই মি. ট্রাম্প তাইওয়ানের নেতার সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছেন।এই ঘটনার পর মি. ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জাহাজটি চুরি করেছে। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক কালের ইতিহাসে দুটো দেশের মধ্যে এটাই সবচে বড়ো সামরিক ঘটনা।
এর আগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি বিমানের সাথে চীনের একটি জঙ্গি-বিমানের সংঘর্ষ হয়েছিলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনার পর দক্ষিণ চীন সাগরে যে দুটো দেশেরই সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।