ঢাকা; যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজে ব্যক্তিগতভাবে হ্যাকিংয়ে জড়িত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এমনটা বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে তিনি এমনটা করেছিলেন।
বুধবার এনবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এক রিপোর্টে একই রকম কথা বলেছে। কিন্তু এবার সিনিয়র দু’কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটদের ডকুমেন্ট কিভাবে হ্যাক করতে হবে এবং তা কিভাবে ফাঁস করতে হবে সে বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে নির্দেশনা দিয়েছিলেন পুতিন। এনবিসি নিউজকে এ কথা বলেছেন ওই দু’কর্মকর্তা। তারা বলেছেন, এ অভিযোগের বিষয়ে তাদের কাছে উচ্চ মাত্রায় প্রমাণ রয়েছে। গত সপ্তাহে একই বিষয় নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। তাতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটদের ইমেইল ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো হ্যাক করেছে রাশিয়া। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনে সুবিধা দেয়া হয় রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে। হিলারি যাতে পরাজিত হন সে বিষয়ে কাজ করা হয়। অভিযোগ আছে, ২০১১ সালে রাশিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় হিলারি ক্লিনটন হস্তক্ষেপ করেছিলেন বলে মনে করেন পুতিন। সেই প্রতিশোধ নিতে এবার হিলারির বিরুদ্ধে কাজ করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে তারা দেখাতে চেষ্টা করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি দুর্নীতিপরায়ণ। অন্য যে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আস্থাশীল ও বিশ্বাস স্থাপন করে তারা যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতা থেকে বেরিয়ে আসে সেজন্যই এটা করা হয়। কিন্তু এমন দাবিকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প। তা সত্ত্বেও ইমেইল হ্যাকিং নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেশনাল তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সদস্যরা।