বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিবসটি উপলক্ষে আজ বিভিন্ন ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, ধর্মীয় শোভাযাত্রা, সেমিনার, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও বেসরকারি রেডিও দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ বাদ আসর বঙ্গভবনে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ যোগ দেন। বাদ মাগরিব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন রাজধানীতে ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের করেছে।
বাদ আসর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম সম্মেলনকেন্দ্রেÿমহানবীর জীবন ও কর্ম নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমের পূর্ব চত্বরে ওয়াজ মাহফিল ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মর্যাদাপূর্ণ দিবসটি পালনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী নিজস্ব মিলনায়তনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
এ ছাড়া পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আজ সোমবার থেকে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে ওয়াজ মাহফিল, সেমিনার, ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি ও মহানবী (সা.)-এর জীবনভিত্তিক পোস্টার ও গ্রন্থ প্রদর্শনী, ইসলামি বইমেলা, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, কিরাত ও হামদ-নাত এবং রাসুল (সা.)-এর শানে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর রয়েছে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষেÿ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব চত্বরে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।