কক্সবাজার; কক্সবাজার-টট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা পানিরছড়ায় এলাকায় ইউনিক পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে চার যাত্রী নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে ২৫জন।
রোববার দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ভৈরব জেলার বাসিন্দা কাশেম (৪২) ও চকরিয়া উপজেলার পূর্বভেওলার মৃত কবির আহামদের স্ত্রী নূরুন্নাহার (৪০)। পেকুয়া উপজেলার টেটং ্ইউনিয়নের মো. শফিকের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (২২) ও কুতুবদিয়ার উপজেলার লেমশিখালী ইউনিয়নের মৃত এবাদুল্লাহর পুত্র মো. ফারুক (২০)। নিহতদের মৃতদেহ মরদেহ কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা।
রামু তুলাতলী হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবদুল আওয়াল জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দিকে আসা ইউনিক পরিবহনের একটি বাস সড়ক দেবে গিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসে থাকা থাকা যাত্রীদের মধ্যে চারজন নিহত ও ২৫ জন মতো আহত হয়েছে।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযানে নামেন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স টিম পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। তারা যৌথভাবে চালানো দীর্ঘ ৫ ঘন্টা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার সক্ষম হয়। এদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেয়া ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সহকারী উপ-পরির্দশক (এএসআই) পিয়ারু ইসলাম জানান, অধিকাংশ যাত্রীকে কোন রকম উদ্ধার করা গেলেও স্বাভাবিক ভাবে সম্ভব না হওয়ায় গাড়ি দেহ কেটে শেষ মুহুর্তে ছয়জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার আগেই দু’জনের মৃত্যু হয়।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, আহতদের অধিকাংশকে প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে দু’জনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।