নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে দীর্ঘদিন পর নগরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাঙাভাব দেখা যায়। ২০১৪ সালের এপ্রিলের পর বিএনপির সবচেয়ে বড় জমায়েত লক্ষ করা যায় আজ। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, দুই বছর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জ আসার পর, এটাই বিএনপির সবচেয়ে বড় জমায়েত। ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহ্ আলম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামানের অনুসারীরা সিটি এলাকার বাইরে ফতুল্লা ও রূপগঞ্জ থেকে বিএনপির এ সমাবেশে যোগ দেন। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ২০–দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের নেতারা সমাবেশে ছিলেন।
বেলা ১১টায় শহরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় সাখাওয়াত হোসেনের পক্ষে প্রচার শুরু করেন মির্জা ফখরুল। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচ বছর ধরে এই দেশে জনগণের মানবাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। হত্যা, গুম ও খুন করা হয়েছে। বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। শুধু বিরোধী দল নয়, সব পর্যায়ের মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের কাছে যাব বলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে আমরা বেছে নিয়েছি। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অবশ্যই নারায়ণগঞ্জের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।’
পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নগরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ২ নম্বর রেলগেট, উকিলপাড়া এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন। প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান।