ইফতেখার আহমেদ শুক্রবার বলেন, বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে ছেলের গ্রেপ্তারের বিষয়টি দেখে তাঁকে চিনতে পারেন। তিনি বলেন, চলতি বছর ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ইফতিশামকে রাজশাহী নগরের মোন্নাফের মোড়ে নিলাভা ছাত্রাবাস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে খবর পেয়ে রাজশাহী ছুটে যান তিনি। কোথাও ছেলের সন্ধান না পেয়ে ওই দিনই রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর থেকে পুলিশ তাঁর সন্ধান দিতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যেন সুষ্ঠু বিচার পায় এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।’
রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন শুক্রবার মুঠোফোনে ওই জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হুজি-বির সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, হাত গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তাজুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন, আবুজার গিফারি, নূরে আলম ও ইফতিশাম আহমেদ।
নূরে আলমের মা নীলফামারী শহরের উকিলের মোড় এলাকার বাসিন্দা নূর নাহার বেগম গতকালই দাবি করেন, গত ১১ এপ্রিল রাতে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে নূরে আলমকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন ব্যক্তি। এ ঘটনায় ওই সময় তিনি জিডি ও পরে মামলা করেন।