অ্যানার চিকিৎসক বলেন, তার জীবন সংশয়ের পথে ছিল। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এখন সে খুব দুর্বল। তাকে আস্তে আস্তে ভারী খাবার দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দানিল ও অ্যানা বন্দী বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। প্রতিবেশীরা সকাল ও বিকেলে তাদের চিৎকার ও কান্নার শব্দ পেতেন। তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ সাড়া দেয়নি। শেষমেশ নয় দিন পর মা ফিরে এলে, তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ মা ভ্লাদিস্লাভাকে গ্রেপ্তার করে। পরে সন্তানদের অবহেলা করার দায়ে তাঁকে আট বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের প্রশ্নের মুখে মা ভ্লাদিস্লাভা বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাচ্চা এভাবে মরে যেতে পারে।’
এই বাস্তবতার সঙ্গে ভ্লাদিস্লাভার পারিবারিক ছবির কোনো মিল নেই। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজের পরিবারের অসংখ্য ছবি শেয়ার করেছেন ভ্লাদিস্লাভা। সেসব ছবিতে বাচ্চাদের সঙ্গে তাঁর মায়ের ভালোবাসা ও স্নেহ লক্ষ্য করা যায়।
ইউক্রেনের শিশু অধিকার প্রতিনিধি নিকোলাই কুলেবা বলেন, সম্প্রতি ওই মা তাঁর সন্তানকে কোনো সমস্যার কারণে কিন্ডারগার্টেন থেকে একেবারে নিয়ে এসেছেন।
তবে ভ্লাদিস্লাভার কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা ছিল না বলে জানা গেছে।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যানাকে আপাতত কোনো এতিমখানায় পাঠানো হবে বা দত্তক দেওয়া হতে পারে। তবে তার বাবা চাইলে তাকে নিয়ে যেতে পারেন।