ঝিনাইদহে এবার আ’লীগ প্রার্থী কনক কান্তি দাসের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সর্মথিত প্রার্থী কনক কান্তি দাসের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদারের কাছে লিখিত ভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক (জেলা জাসদের সভাপতি) এ অভিযোগ দায়ের করেন। রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো: মাহবুব আলম তালুকদার সংশি¬ষ্ট প্রার্থীকে কারন দর্শানোর জন্য নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে ওই প্রার্থীকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো: জাহাঙ্গীর হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেন। লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক উল্লেখ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু কনক কান্তি দাস নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রচার পত্র ছাপিয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। অভিযোগের সাথে তিনি একটি প্রচার পত্র সংযুক্ত করেছেন।
ওই প্রচার পত্রে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চেয়ারম্যান প্রার্থী কনক কান্তি দাসের ছবি রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার পক্ষ থেকে এটি প্রচার করা হচ্ছে মর্মেও ওই প্রচার পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচন সংশি¬ষ্টরা এ বিষয়ে বলেছেন, এ ধরণের প্রচারনা আচরণ বিধির স্পষ্ট লংঘন। সে কারনে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহে শৈলকুপায় গভীর রাতে পুলিশের অভিযানে রিভলবার ও চাপাতি উদ্ধার !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ শৈলকুপায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরী রিভলবার ও চাপাতি উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার গভীর রাত উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কানা পুকুরিয়া গ্রামের ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শৈলকুপা থানার এসআই মনিরুজ্জামান হাজরা ও এসআই ইকবাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বুধবার রাতে অভিযান চালায়। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ের কানাপুকুরিয়া গ্রামের আবুল বিশ্বাসের ছেলে মতিয়ারের বাড়ীর পাশ থেকে দেশীয় তৈরী একটি রিভলবার ও চাপাতি পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, ধারনা করা হচ্ছে ডাকাতি অথবা নাশকতার উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে অস্ত্র নিয়ে বেশ কয়েক জন ওৎ পেতে ছিলো। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিত্যাক্ত অস্ত্র উদ্ধার করে।
ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও কামাল কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গোপনে বদলী !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা (এসও) কামাল হোসেন আখন্দ এক বছর আত্মগোপনে থাকার পর কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গোপনে বদলী হয়েছেন। তিনি এখন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া ডিভিশনে যোগদান করেছেন। এক বছরের বেশি সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে গত ৩ ডিসেম্বর কামাল হোসেন আখন্দ বদলী হন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, এসও কামাল হোসেন আখন্দ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঠিকাদারী কাজ ও চাকরী দেওয়ার নাম করে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ নিয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাওয়নাদাররা ভীড় জমাচ্ছেন। কয়েকজন পাওয়ানাদার এসও কামাল হোসেন আখন্দের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ ও চেক জালিয়াতির মামলাও করেছেন। ঝিনাইদহের গয়াসপুর এলাকার ভাব সঙ্গীতের গায়ক মতলেব ফকির অভিযোগ করেন, আব্দুর রশিদ নামে এক ব্যক্তিকে চাকরী দেওয়ার নামে তার কাছ থেকে দুই লাখ আশি হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ঝিনাইদ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী মনিরুল ও আব্দুল হাকিমের কাছ থেকে চাকরী দেওয়ার নামে সর্বমোট ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন।
মনিরুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তি জানান, তার ভাইকে চাকরী দেওয়ার নামে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন আখন্দ। মতিয়ার রহমান নামে এক ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ দেওয়ার নামে ১২ লাখ টাকা নিয়েছেন দুর্নীতিবাজ এসও কামাল হোসেন আখন্দ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হরণিাকুন্ডু ডিভিশনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্থানীয় ফলসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যার ফজলুর রহমান, ঠিকাদার খায়রুল ইসলাম, হরিণাকুন্ডুর জোড়াদহ গ্রামের এক শিক্ষক ও পুলতাডাঙ্গার ঠিকাদার আব্দুল গণিসহ বহু মানুষের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে কামাল হোসেন আখন্দ এক বছরের বেশি সময় পালিয়ে ছিলেন।
এরপর টাকা না পেয়ে চেয়ারম্যার ফজলুর রহমান আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখন বিচারাধীন আছে। হরিণাকুন্ডু পওর ডিভিশনে টাকার জন্য এখন ঠিকাদাররা ভিড় জমাচ্ছে। এদিকে রানা নামে এক ঠিকাদার জানান, তার কাছ থেকে কাজ দেওয়ার নামে ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন কামাল হোসেন আখন্দ। তাকে এক লাখ টাকার একটি চেকও দেওয়া হয়। তিনি চেক জালিয়াতির মামলা করবেন বলে জানান। বাঘা নামে আরেক ঠিকাদার টাকা আদায়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শৈলকুপার এসডি আশরাফুল ইসলাম জানান, বেশ কয়েক জন ঠিকাদার ও পাওয়রানাদার এসও কামাল হোসেন আখন্দের খোঁজে ঝিনাইদহ অফিসে আসছেন। তাদেরকে বলা হয়েছে এসও কামাল আখন্দ বদলী হয়ে চলে গেছেন। তাদেরকে বর্তমান কর্মস্থলেও ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঝনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, এসও কামাল হোসেন আখন্দ এখাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কাজ ও চাকরী দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন এমন কথা শোনা যাচ্ছে। তিনি জানান, কিছু মানুষ এসও কামালের কথায় ঠিকাদারী কাজ করে ডিপার্টমেন্টের কাছে বিল চাচ্ছে। তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এ সব ঠিকাদারী কাজের কোন অনুমোদন নেই।
উল্লেখ্য, শাখা কর্মকর্তা (এসও) কামাল হোসেন আখন্দ নিজেই ঠিকাদার সেজে কাজ করতেন। তিনি খাল খননসহ বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ নাম মাত্র করে বিল তুলে নিতেন। সম্প্রতি হরিণাকুন্ডু পানি উন্নয়ন বোর্ডে একজন এসডি দায়িত্ব গ্রহনের পর এসও কামালের দুর্নীতি ধরা পড়ে। জানা গেছে হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভবানীপুর ও লতিডাঙ্গা অভিমুখে বয়ে যাওয়া টি-১ (এস-২) সেচ খালটির ২.৫ কিলোমিটার খননের জন্য ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ ১১ লাখ টাকার ই-টেন্ডার করে।
টেন্ডারে খুলনার আমিন এন্ড কোং নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ পাই। কিন্তুএস ও কামাল আখন্দ ঠিকাদারের নিকট থেকে ৪ লাখ টাকায় কাজটি কিনে নিজেই করেন। কাজটি সঠিক ও যথাযথ ভাবে সম্পন্ন না করে বিল তুলে নেওয়া হয়। হরিণাকুন্ডু উপজেলার চটকাবাড়ীয়া আন্দুলিয়া এস-১ খালের ব্রীজে এক কাজ দুইটি টেন্ডারের মাধ্যমে দুই জন ঠিকাদারকে দেওয়া হয়। এছাড়াও এস-১ এর টি-২ খালের কাজ না করে বিল উত্তোলন করেন এসও কামাল।
এ সব বিষয়ে এসও কামাল হোসেন আখন্দ জানান, যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি, তাদের টাকা দিয়ে দেব। তিনি স্বীকার করেন পাওয়ানাদারদের জন্য আমি ঠিক মতো অফিস করতে পারিনি। দিনদিন ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। এ কারণে আমি গোপনে বদলী হয়ে চলে এসেছি। দয়া করে আপনি এসব কথা পত্রিকায় যেন লিখবেন না।
ঝিনাইদহ ব্রান্ডিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ ব্রান্ডিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্ষন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন-মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ-টু-আই প্রোগ্রামের যুগ্ম-সচিব ড. আব্দুল মান্নান ও উপসচিব মামুনুর রশীদ।
এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় জেলার মিষ্টি পান, পেয়ারা, কলাকে ব্রান্ডিং করা যেতে পারে বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
ঝিনাইদহ পলিটেকনিকে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
নতুন ধানে চিড়া দেব, আরো দেব খই, নতুন ধানের পিঠা করেছি, পড়শীরা সব কই এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি ৫০ প্রকার পিঠা নিয়ে জমজমাট এ পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট এর আয়োনে আজ সকালে থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। বাঙালীর চিরাচরিত পিঠা-পুলির ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এ আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট চত্বরে সকাল থেকে শুরু হওয়া এ মেলায় এসেছেন গৃহবধূ, শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অসংখ্য মানুষ। রকমারি পিঠার ডালি সাজিয়ে বসেন ওই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
দেশীয় নানারকম ৩৪টি পিঠার স্টল প্রদর্শন করেছেন তারা। তাদের পিঠার মধ্যে ছিল, পাটিসাপটা, উষ্ণ গুঞ্জা, ফুলঝুরি, ভাজাপুলি, পানিদৌলা, পাকান পিঠা, বাঁধাকপির বড়া, সবজিভাঁপা, সেমাই রসগোল্লা, সেমাই কাটসেট, চুসিপিঠা, চন্দ্রপুলি, সরভাজা, ম্যারাপিঠা, ছানার জিলাপি, ঝিনুকপিঠা, ময়মনসিংহের বিবিখানাসহ প্রায় ৫০ রকমের পিঠা।
প্রতিবছর এ ধরনের মেলার আয়োজন করা হলে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবেন বলে দাবি আয়োজকরা। এ মেলার আসতে পেরে খুশি দর্শানার্থীরা। ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী নিহার রঞ্জন দাস জানান, বাংলার ঐতিহ্য তরুণ সমাজের সামনে তুলে ধরতে এবং সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ থেকে সমাজকে দুরে রাখতে এ আয়োজন বলে জানায় আয়োজকরা।
ঝিনাইদহ মহেশপুরে সেই শিশু ধর্ষনের আসামী মুসা আটক !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৯ বছরের শিশু ধর্ষনের আসমী মুসাকে আটক করেছে মহেশপুর থানা পুলিশ। মহেশপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার সুন্দরপুর বাজার থেকে ধর্ষন মামলার আসামী মুতালেব হেসেন ওরোফে মুসা (৪৭) কে আটক করে।
বুধবার ধর্ষিতার মা আয়েশা খাতুন বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২। মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই বজলুর রহমান জানান, পালিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরপুর বাজার থেকে তাকে আটক করা হয় এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।