ঢাকা; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরনার্থী যারা এসেছে তাদের যথাসাধ্য সহযোগিতা দিচ্ছি। আমাদের যতটুকু করার করছি। কিন্তু আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ‘আমরা দুয়ার খুলে স্রোতের মত আসতে দিতে পারি না। তবে মিয়ানমার দূতাবাসকে তার দেশের সরকারের কাছে ম্যাসেজ দিতে বলেছি এমন কোন অবস্থার সৃষ্টি করবেন না, যেন ওখান থেকে শরনার্থী বাংলাদেশে আসে। বুধবার দশম জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশে একটা ঘটনা ঘটেছে। যারা মিয়ানামের ৯ জন বর্ডার পুলিশকে হত্যা করেছে, সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করেছে, তাদের কারণে এটা হচ্ছে। যারা এই ধরণের ঘটনা ঘটালো তাদের জন্যই হাজার হাজার নারী পুরুষ শিশু কষ্ট পাচ্ছে। অথচ তারা এর জন্য দায়ী না। তিনি বলেন, যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা বাংলাদেশে আছে কি না আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি তাদের খুঁজে বের করতে। যখনই আমরা পাব মিয়ানমার পুলিশের হাতে দিয়ে দিব। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে কেউ প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটাবে আমরা সেটা করতে দেব না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে মিয়ানমার থেকে শরনার্থী যারা এসেছে তাদের সাহায্য দিচ্ছি, যতটুক করার করছি। কিন্তু আমরাতো দুয়ার খুলে দিয়ে কাউকে স্রোতের মতো আসতে দিতে পারি না। কেননা আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা মায়নমার দূতাবাসকে ডেকে বলেছি, তার দেশকে ম্যাসেজটা দিতে এমন কোন অবস্থার সৃষ্টি করবেন না, যেন ওখান থেকে রিফুজি বাংলাদেশে আসে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ব্যবস্থা নিয়েছে। একদিকে মানবতার দিকটা দেখতে হচ্ছে, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশে যেন কোন অঘটন না হয় সেদিকটা দেখতে হচ্ছে।