ঢাকা; চীনের কাছ থেকে দুটি সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে চাইছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে দু’দেশ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষাবিষয়ক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন। ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে দু’পক্ষই নিরাপত্তাবিষয়ক সম্পর্ককে বৃদ্ধি করতে চায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে কেন্দ্র করে এসব কথা লিখেছে অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমস। এতে নয়া দিল্লি থেকে সাংবাদিক দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীর লেখা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগামী ১৭ই ডিসেম্বর চারদিনের সফরে ভারত যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই হবে শেখ হাসিনার প্রথম সরকারি ভারত সফর। গত সোম ও মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে ভারত ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। এরপরই আজ ভারত সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের নৌবাহিনী প্রধানের। প্রতিরক্ষা বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এটিকে দেখা হচ্ছে প্রতিরক্ষাবিষয়ক চুক্তির পূর্ববর্তী পদক্ষেপ হিসেবে। স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ইস্যু আলোচিত হয়েছে। এছাড়া আলোচনায় উঠে এসেছে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ। সর্বশেষ এ জাতীয় বৈঠক হয়েছিল ঢাকায়, ২০১৫ সালের নভেম্বরে। এরই মধ্যে ঢাকা সফর করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তার এক সপ্তাহ পরে আজ ভারত যাওয়ার কথা বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধানের। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি-এর অধীনে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নৌ সীমানাবিষয়ক বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে বাংলাদেশ ও ভারত কিছুদিন আগে একটি মানদ- প্রতিষ্ঠা করেছে। তাতে সাজেশন দেয়া হয়েছে চীন কিভাবে এই মডেল অনুসরণ করে দক্ষিণ চীন সাগরীয় অঞ্চলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে পারে। এখন বাংলাদেশ ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে চায়। যদিও চীন থেকে বাংলাদেশ দুটি সাবমেরিন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নৌবিষয়ক সহযোগিতার আওতায় আনা হতে পারে আন্তর্জাতিক নৌসীমানায় সমন্বিত টহলের প্রসঙ্গ। দু’দেশের নৌবাহিনীকে যুক্ত করে দ্বিপক্ষীয় মহড়া। এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে যৌথ নজরদারি ও হাইড্রোগ্রাফির বিষয়ে সহযোগিতা। উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত হয়েছে ১৮ই ডিসেম্বর। এতে যেসব ইস্যু থাকবে তার মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি অন্যতম। ২০১৫ সাল থেকে দু’বার ভারত সফর করেছেন শেখ হাসিনা। একবার প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর স্ত্রী শুভা মুখার্জীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়। দ্বিতীয়বার ব্রিক-বিমসটেক বৈঠকে।