কাঙ্গাল,
————————কোহিনূর আক্তার,
তুমি কাঙ্গাল সে তো বিবেকের কাঙ্গাল,
বিবেকের পাপে পেয়েছো বিষাক্ত ঝড় ঝঙ্কার ।
সুখ নেই তোমার, সুখ নিতেও জানোনি,
কি করে সুখ আসে সেও তো কখনো মানোনি।
জীবন কে করেছো বাঁধা হীন বেপরোয়া,
তাই তো জীবন আজ অগ্নি দাহে অর্ধ রঙ্গা ।
মানোনি জীবন পিপাসায় তৃষ্ণার্ত মানুষের কথা,
তবে কেনো হে বিবেকের কাঙ্গাল তোমার এত ব্যাথা ।
ঘুষ ছাড়া বেকার যুবকের ফাইলে সই করোনি,
তাহলে কেনো আজ বিবেক সুখের সাগরে ভাসেনি ।
আর্ত অহংকারে নিজেকে মহারাজ বানিয়েছো ,
স্নেহ শ্রদ্ধা হারা ঘৃণার মালা নিজ গলে পরিয়েছো।
ঘুষের টাকায় গড়েছো শ্রেষ্ঠ সুখের নীড়,
তাহলে কেনো তোমার আদরের সন্তান নেশায় করছে বীর বীর ?
অন্যকে ঠকিয়ে করেছো হাজার বিঘা জমি,
আজ তোমার সহধর্মিনী ক্যান্সারে ভুগছে হয়েছো বিধবা স্বামী ।
মাতা পিতার শোনোনি কথা, বাসোনি ভালো ,
তাই তো তোমার জীবনে কষ্টের এত কালো ।
ওরে নির্বোধ চিনলে না একটুও জীবন টারে ,
তোমার সুখ আছে গরিবের সহজ হৃদয়ের তারে ।
করো না কাউকে অবহেলা ,
তুমিই এক দিন হবে অবহেলার মেলা ।
ভেবেছো কি সে জীবনের শেষ খেলা ?