এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়ললিতার মরদেহ সারা দিন শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চেন্নাইয়ের পাবলিক অডিটোরিয়াম রাজাজি হলে রাখা হয়। সেখান থেকে বিকেলে জাতীয় পতাকায় ঢেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তিন কিলোমিটার দূরের মেরিনা বিচ এলাকায়। সেখানে লাখো মানুষের ভিড় জমে যায়। জয়ললিতার শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেশের অসংখ্য রাজনীতিবিদ উপস্থিত হন। এ কারণে ওই এলাকায় সারা দিন নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। জয়ললিতার মৃত্যুর পর গতকাল রাতেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া পনিরসেলভামও শোকযাত্রায় অংশ নেন।
চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে রাজাজি হলে গিয়ে দুপুরে জয়ললিতার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে চেন্নাইয়ে জয়ললিতার শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারেননি। তবে তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উত্তর প্রদেশের অখিলেশ যাদব, কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীসহ দেশটির আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা জয়ললিতার শেষকৃত্য ও সমাহিত করার সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিটে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জয়ললিতা। তাঁর মৃত্যুতে তামিলনাড়ু রাজ্যে সাত দিনের শোক ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া তামিলনাড়ুর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।