শাহবাগে ফুটপাথে ঘুমন্ত মানুষের ওপর গাড়ি একজন নিহত, তিনজন আহত

Slider সারাদেশ

4b892d564db405854c41d85aed1e2ad4-2016-12-06-00-39-44-130

ঢাকা; হাইকোর্ট সংলগ্ন ফুটপাথে শুয়ে ছিলেন একদল ছিন্নমূল মানুষ। হঠাৎই একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় উড়ে এসে শুয়ে থাকা মানুষগুলোর ওপর দিয়ে হাইকোর্টের সীমানা পিলার ও গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়।
এ ঘটনায় হাসিনা নামে এক মধ্য বয়সী নারী নিহত ও অপর এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আরো দুজন আহত প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
 সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শাহবাগ থানার পুলিশ গাড়ির ভেতর থেকে শাওন নামে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে আটক করেছে। গাড়ির চালক ও অন্য আরেকজন আরোহী গাড়ি রেখেই পালিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বঙ্গবাজারের দিক থেকে আসা একটি গাড়ি কার্জন হল মোড়, হাইকোর্ট মাজারের ফটক পেরিয়ে বার কাউন্সিলের একটু আগে রাস্তা ছেড়ে ফুটপাথ মাড়িয়ে গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। এসময় রাস্তায় শুয়ে থাকা ছিন্নমূল দুজন মানুষ গাড়ির চাপায় গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরই একজনকে রাতেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আব্দুর রশীদ নামের একজন বলেন, তিনি ফুটপাথে শুয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই জোড়ালো আওয়াজে তাঁর ঘুম ভাঙে। তিনি দেখেন অনেকটা তাঁদের ওপর দিয়েই রীতিমতো উড়ে গিয়ে একটি গাড়ি হাইকোর্টের গ্রিলের সীমানা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। রশীদ তাঁর ডান হাতে চোট পেয়েছেন। এসময় রশীদের পাশে শুয়ে থাকা দুই নারী গাড়ি চাপা পড়েন। তিনি ও আরেকজন পুরুষ গুরুতর আহত হন।
রিকশাচালক আলমগীর বলেন, তিনি দুর্ঘটনাস্থলের সামনে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন সেখানে একটি রড বোঝাই ট্রাক হঠাৎ গতি কমালে গাড়িটি সজোরে ব্রেক কষে। তখনই চালিক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি আচমকা বাঁ দিকে ঘুরে গিয়ে ফুটপাথ মাড়িয়ে হাইকোর্টের সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়ে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবরাজ চক্রবর্তী  বলেন, গাড়িতে চালকসহ তিনজন ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন পালিয়েছেন, শাওন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ঘাতক টয়োটা ফিল্ডার গাড়িটি পুলিশ শাহবাগ থানায় নিয়ে রেখেছে।
শাহবাগ থানার এসআই ফিরোজ আলম গিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার পরে চিকিৎসকেরা হাসিনাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর সঙ্গে অজ্ঞান অবস্থায় আরেকজন মধ্য বয়স্ক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *