ওই দুই আসামি হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান।
এর আগে দুই আসামির পক্ষে আজ হাজিরাও দাখিল করা হয়েছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরানুল ইসলাম দুই আসামির জামিন বাতিল করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান। শুনানির সময় আসামিদের না পাওয়ায় আদালত জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার মিরাশ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের হাতে যে অস্ত্র ছিল, ওই অস্ত্রের উৎস, তা বৈধ কি না, তা জিজ্ঞাসাবাদ করতে তদন্ত কর্মকর্তা দুই আসামির জামিন বাতিল চেয়েছেন। কিন্তু শুনানিকালে আসামিদের না পাওয়ায় আদালত জামিন বাতিল করেন। আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই মাহমুদুর রহমান বলেন, আইনজীবী শাহাদত হোসেন ভূঁইয়ার মাধ্যমে ১৭ নভেম্বর জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আজ এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামি হাজিরার দিন ধার্য ছিল। দুই আসামিপক্ষে আইনজীবী সালাউদ্দিন ইউসুফ হাজিরা দাখিল করেন। কিন্তু জামিন বাতিল ও রিমান্ড বিষয়ে শুনানিকালে তাঁদের ডেকে পাওয়া যায়নি। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম এ পরোয়ানা জারি করেন। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তারসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। একই আদালত ১৭ নভেম্বর এই দুই আসামির জামিন দিয়েছিলেন।
গত ২৭ অক্টোবর গুলিস্তান পাতাল মার্কেট এলাকার ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় হকারদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অস্ত্র উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই আবদুল মান্নান বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলায় সাব্বির হোসেন ও আশিকুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়।