রংপুর ডেস্কঃ দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণাধীন তৃতীয় ইউনিটের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলন করায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রে তৃতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজের জন্য পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১৫০০ শ্রমিক প্রতিদিনে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা হাজিরা চুক্তিতে কাজ করছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজ করতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছে। অথচ একই কাজ করে চীনা শ্রমিকেরা তাদের থেকে ২০ গুণ বেতন পাচ্ছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চিনা হারজিং মেশিনারি কোম্পানির কাছ থেকে শ্রমিকের জন্য বেশি বেতন নিয়ে জনবল সরবরাহকারী দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কম পারিশ্রমিকে শ্রমিক নিয়োগ করেছে। কোনো শ্রমিক তাদের এই অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করলে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।
এই জন্য শ্রমিকেরা আন্দোলন করলেও কেউ নাম প্রকাশ করতে চান না। শ্রমিকরা জানান, পত্রিকায় তাদের নাম প্রকাশ হলে সেই শ্রমিককে বহিষ্কার করা হয়।
এই বিষয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে তৃতীয় ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক চৌধুরী মো. নুরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি ঠিকাদারি চিনা কোম্পানি ও তাদের জনবল সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। শ্রমিকরা সকলে অস্থায়ী ও তৃতীয়পক্ষের অধিনে।
জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসাস জহির ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী সহযোগী লুৎফর রহমান বলেন, শ্রমিকদের চাকরি দেওয়ার সময় চুক্তি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের চুক্তি অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হচ্ছে।
শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, জনবল সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কথায় কথায় শ্রমিক ছাটাই করছে। আর শ্রমিক নিয়োগের নামে তাদের কাছ থেকে জামানত বাবদ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।